পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদ রচনা টি ৩০০ শব্দ দিয়ে বানানো। এই রচনা টি class 3, 4, 5, 7, 8, 9, 10 সবার কাজে আসবে এবং ফুল মার্কস পেতে সাহায্য করবে।
Table of Contents
প্রতি বছর নতুন দিনের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে পহেলা বৈশাখ। এই দিনটি আসে বিগত দিনের জীর্ণতা ও ক্লান্তিকে পেছনে ফেলে। আমাদের জাতীয় জীবনে বয়ে আনে উৎসবের আমেজ। সবাই মিলিত হয় আনন্দের মিলন মেলায়।
প্রাচীনকাল থেকেই বাঙ্গালিরা বৈশাখ মাসের প্রথম দিনটিকে নববর্ষ হিসেবে পালন করে আসছে। বাঙ্গালির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রথা, ঐতিহ্য, আচার-অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এই পহেলা বৈশাখ। এই দিনে বাঙ্গালি পুরানো বছরের ব্যর্থতা, হতাশা, ভুলে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় মহা আনন্দে, সমৃদ্ধি ও সুখী জীবনের আশায়।
আকবরের সময় থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তবে সে সময় এটি ছিল মূলত খাজনা আদায়ের উৎসব। তাই বাঙ্গালির নববর্ষের ধারণা অতি প্রাচীন হলেও ১৯৬৬ সালের আগে নববর্ষ উদযাপনের প্রথা খুব একটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের আমলে প্রথম সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয় বৈশাখ। পরবর্তীতে আইয়ুবের শাসনামলে নববর্ষ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সর্বোপরি পাকিস্তানি শাসকশ্রেণীর সাংস্কৃতিক নিপীড়ন ও শোষণের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সালে রমনার গোড়ায় ছায়ানট আয়োজিত নববর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, শ্রেণী, পেশা নির্বিশেষে পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এই দিনে বাঙ্গালি মেয়েরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়ি পরে এবং পুরুষরা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে। প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে বিশেষ খাবার বিশেষ করে পান্তা-ইলিশ, বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি। সর্বোপরি সকল স্তরের বাঙ্গালিরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন বছরের প্রথম দিনটি উদযাপন করে।
নববর্ষ দোকানি ও ব্যবসায়ীদের জন্যে নিয়ে আসে শুভ হালখাতা অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে আগতদের জানানো হয় প্রীতিময় শুভেচ্ছা। পারস্পরিক শুভ কামনার পর অতিথির হাতে তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন খাবার ও মিষ্টি। দোকানের মালিক নতুন খাতা খুলে বসেন। এ উপলক্ষে বছরের দেনা-পাওনার হিসাব মিটিয়ে ফেলা হয়। পহেলা বৈশাখে আর একটি আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান বৈশাখি মেলা। মেলা উপলক্ষে খেলনা, মিঠাই, হাড়িকুড়ি, লোকশিল্পের পসরা সাজায় দোকানিরা। নাগরদোলার ঘূর্ণিপাক ছোটদের কাছে মেলার বিশেষ আকর্ষণ হয়।
নববর্ষ আমাদের জীবনে শুধু একটি উৎসব নয়, এটি চেতনার প্রতীক। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে নতুন বছর আমাদের উদ্বুদ্ধ করে মানবতাবোধে। এই দিনটি আমাদের অনুপ্রাণিত করে দরিদ্র, নিপীড়িত, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। নববর্ষ একদিকে নির্মল আনন্দের খোরাক, অন্যদিকে চেতনার বাহক। আর তাই প্রতিটি বাঙালিকে সচেতন হতে হবে যেন কোনো সাংস্কৃতিক সন্ত্রাস আমাদের ঐতিহ্যকে গ্রাস করতে না পারে।
পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ রচনা টি ভালো লেগে থাকলে এবং আপনার উপকারে আসলে কমেন্ট এ ধন্যবাদ লিখতে এবং রচনা টি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।