এই ই-বুকটাতে একজন ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসের বাইরে কিভাবে সবচেয়ে ইফেকটিভ ওয়েতে ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পারেন সেই সম্পর্ত ডিটেইলড এবং স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন প্রোভাইড করা হয়েছে। এই গাইডলাইনে যেসব টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো হলো –
এছাড়াও আরও আছে,
জব ইকোনমির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। বর্তমানে পজিশনের চাইতে ক্যান্ডিডেট বেড়ে যাওয়ার কারণে জব মার্কে ট কতটুকু কম্পিটিটিভ এবং একটা ভালো জব ম্যানেজ করা করতে কতটা হ্যাসেলের মধ্য দিয়ে যেতে হয় সেটা কারোরই অজানা নয়।
কেমন হয় বলুন তো, যদি এমন একটা প্রফেশনের সাথে নিজেকে ইনভলভ করা যায় যেখানে নিজের ফ্রিডম বজায় রেখে যেকোনো জায়গায় বসে নিজের সুবিধাজনক সময়ে কাজ করার চান্স রয়েছে, আবার একই সাথে রয়েছে নিজের পছন্দের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার সুযোগ এবং একই সাথে long-term এ স্ট্যাবিলিটি আনারও নিশ্চয়তা? বলতে পারেন আমি কোন প্রফেশনাল কথা বলছি? বলছি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা।
যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সার কাদেরকে বলা হয় সেটা একটু ডিটেইলে বলি। ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে এমন একজন স্কিলড পার্সন যিনি তার এক্সপার্টা ইজ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির সার্ভিস বাইরের দেশের ক্লায়েন্টদের কাছে সেল করে থাকেন৷ একজন ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বিভিন্ন সেক্টর গুলোকে বেছে নিতে পারেন। যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। যেহেতু একজন ফ্রিল্যান্সার তার সার্ভিসগুলো বাইরের দেশের ক্লায়েন্টের কাছে সেল করেন তাই এক্ষেত্রে যে এমাউন্ট তিনি আর্ন করতে পারেন অ্যামাউন্ট এর পরিমাণ অনেক বেশি হয় এবং ফ্রিল্যান্সিং এর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি বাড়িতে বসে নিজেই নিজের বস হয়ে নিজের ডিসায়ার্ড লাইফ লিড করতে পারবেন। যারা ফ্রিডমের সাথে কাজ করতে পছন্দ করেন এবং একই সাথে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ নিতে যারা প্রিপেয়ার্ড, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে বেস্ট ক্যারিয়ার চয়েস!
আমি এখন স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইনের মাধ্যমে দেখাবো কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজের মোটিভেশন কিংবা ফোকাস না হারিয়ে ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়া যায়
বর্তমানে আমাদের মার্কেটে নতুন এক ধরনের ইকোনোমির উদ্ভব ঘটেছে, যে ইকোনমির সাথে আপনি যত তাড়াতাড়ি অভ্যস্ত হতে পারবেন আপনার সাকসেসফু ল হওয়ার চান্স তত বেড়ে যাবে।
এখানে নতুন ইকোনমি বলতে আমি গিগ ইকোনমিকে বুঝিয়েছি। জব ইকোনমিতে কোন কাজের বিনিময় ফিক্সড স্যালারি পাওয়া যায়। আর গিগ ইকোনমি জব ইকোনমির ঠিক বিপরীত। গিগ ইকোনোমির মাধ্যমে ফরেন ক্লায়েন্টদের সার্ভিস দিয়ে আরো বেশি টাকা আয় করতে পারবেন এবং পৃথিবীর যে কোনো স্থানে বসে যেকোনো সময় কাজ করেই এই টাকা আয় করা সম্ভব। শুধু তাই নয় এই ইকোনমির মাধ্যমে একটি টিম তৈরি করে সেই টিমের মাধ্যমেও ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে পারবেন।
যদি আমি হিস্টোরিক্যাল পার্সপেক্টিভ থেকে বলতে যাই, হিস্ট্রিতে দেখা গেছে যারা কোন একটা নিউ ট্রেন্ড এর সাথে নিজেদেরকে খুব তাড়াতাড়ি এডপ্ট করতে পারে, তাদেরই বেশি পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। কারণ যত দেরিতে নিজেকে এডপ্ট করবেন, মার্কেটে কম্পিটিশন তত বেড়ে যাবে এবং সাকসেসের সম্ভাবনা তত কমতে থাকবে। বর্তমানে আউটসোর্সিংয়ের ডিমান্ড অত্যন্ত বেশি এবং এই ডিমান্ড বছরের পর বছর জুড়ে কিন্তু বাড়তেই থাকবে।
গোটা বিশ্বে কোভিড প্যানডেমিকের ব্যাপারে আমরা তো সবাই জানি। এই গ্লোবাল কোভিড প্যানডেমিকের পর আমরা দেখতে পেয়েছি কিভাবে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেড়েছে৷ কারণ বিভিন্ন কোম্পানি নিরাপত্তাজনিত কারণ থেকে তাদের যে সার্ভিসগুলো নেয়া প্রয়োজন সেগুলো রিমোট গ্লোবাল ওয়ার্কফোর্সের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করছেন। এই আউটসোর্সিংয়ের ফলে বিভিন্ন কোম্পানি এবং যারা গ্লোবালি স্কিলড ফ্রিল্যান্সাররা রয়েছেন, তারা উভয়পক্ষই বিভিন্ন বেনিফিট পেয়েছেন।
বর্তমানে ডেভেলপড কান্ট্রিবেইজড বিভিন্ন কোম্পানির ডেভেলপিং কান্ট্রির যেসব স্কিলড এবং ট্যালেন্টেড মানুষ রয়েছেন, তাদের কাছ থেকে তুলনামূলক কম রেটে সার্ভিস নিচ্ছেন এবং একই সাথে যারা স্কিলড এবং এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তারা গ্লোবাল এক্সপোজার পাচ্ছেন এবং তারা হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্টের ইনকাম জেনারেট করতে সক্ষম হচ্ছেন।
এটা বলা বেশ সহজ হলেও করে দেখানো অত সহজ নয়...
একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে হাই- পেয়িং ক্লায়েন্ট পাওয়ার প্রুভেন এবং ইফেক্টিভ টেকনিকগুলো দেখানোর আগে আমি সবাইকে আমার নিজের স্টোরি শেয়ার করতে চাই।
আমার নাম আরিফু ল ইসলাম, আমি বাংলাদেশে থাকি। আমার নিজের একটা সাকসেসফু ল গ্রাফিক ডিজাইন এজেন্সি আছে। আমার এজেন্সির নাম গ্রাফিক্স সোলো যেটা আমি গত পাঁচ বছর ধরে সাকসেসফুলি রান করছি। আমার একটা ছোট কিন্তু ডেডিকেটেড টিম আছে।
কিন্তু আমার ফ্রিল্যান্সিং জার্নির শুরুটা কিন্তু মোটেও এমন ছিলোনা!
শুরুতেই বলে রাখি আমি কিন্তু কোন রুপার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করি নি৷ আমি একটা ভদ্র এবং রেস্পেক্টেড ফ্যামিলিতে বিলং করি। ছোট থেকে বড় হতে হতে, আমি সবসময়ই বিলিভ করতাম যে এমন কিছু লাইফে করা উচিৎ যেটা আমি করতে ভালোবাসি এবং যেটাতে আমার ন্যাচারাল ট্যালেন্টকে আমি কাজে লাগাতে পারবো। এই বিলিভ নিয়ে বড় হয়ে আমি এডুকেশনের ক্ষেত্রেও আমার প্যাশনকেই ফলো করি।
যখন আমি লোকাল মার্কেটে job-hunt করা শুরু করি, তখন একটি ভয়ানক সারপ্রাইজ এর মুখোমুখি হতে হয়। আমি ডিসিশন নেই নিজেই নিজের বস হবো এবং এই ভেবে ফ্রিল্যান্স মার্কে টপ্লেস(ফাইভার) এ নিজের প্রোফাইল বিল্ড করতে থাকি।
ফাইভারে কাজ করার প্রথম দিকের কয়েকটা মাস খুবই কঠিন সময় ছিলো আমার জন্য। কারণ আমি সেখান থেকে কোনো ক্লায়েন্টই পাচ্ছিলাম না। এর কারণ ফাইভারে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে প্রচুর কম্পিটিশন এবং ফাইবারের পেমেন্ট রেটও অনেক লো।
তারপর অনেক মাস স্ট্রাগল করে গিগ অপটিমাইজ করার পর, শতাধিক বায়ার রিকুয়েষ্ট সেন্ড করার পর আমি আমার পাঁচ ডলারের একটা গিগ ল্যান্ড করাতে পারি।
আপনারা নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন সেই মোমেন্টে আমার হ্যাপিনেসের মাত্রা কতটুকু ছিলো?
আমি জানি এখানে টাকার অংকটা খুব বেশি ছিলোনা, কিন্তু এটা আমাকে আশা দিয়েছিল এবং আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম যে আমি যা করছি সেটা আমার জন্য ওয়ার্ক আউট করবে। এরপর আমি ফাইভারে সময় নিয়ে কাজ করা শুরু করি এবং ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স গ্যাদার করতে থাকি। এর সাথে সাথে আমি আমার পোর্টফলি ওটাও বিল্ডআপ করতে থাকি এবং একটা সময় আমি টপ রেটেড সেলার ব্যাজ পেয়ে যাই।
এখানে একটা সমস্যা ছিলো৷ সেটা হলো আমি অনেক কাজ করার পরেও যে পেমেন্ট রিসিভ করছিলাম সেটার অংক অনেক কম ছিলো। এছাড়াও কাজের চাপ অনেক বেশি থাকতো সাথে রিভিশন সহ বলা যায় যে দিন রাত একাকার করে কাজ করতে হতো। এ কারণে আমি অনেক স্ট্রেসড থাকতাম, কারণ আমাকে অনেক বেশি ওভারওয়ার্ক করতে হতো। ফলস্বরূপ আমার হেলথ ইস্যুজ দেখা দিয়েছিলো এবং আমি আমার লাইফ ভালোমতো লিড করতে পারছিলাম না। এছাড়াও একাউন্ট টিকিয়ে রাখা নিয়েও খুবই চিন্তায় থাকতে হতো কারণ আশেপাশের অনেক ভালো সেলারদের একাউন্ট ডিসএবল হতে আমি দেখেছি। এছাড়াও অনেকেই হতাশ হয়ে অনলাইন জগৎ থেকে ছিটকে পড়তেও আমি দেখেছি।
আমার ভাগ্য পুরোপুরি বদলে গেলো যখন আমি ডিসাইড করলাম যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কে টপ্লেসের ওপর আর ডিপেন্ডেন্ট না থেকে আমি আমার নিজের এজেন্সি শুরু করবো। এই ডিসিশনের সূত্র ধরে আমি এরপর বিভিন্ন এস্টাবলিশড বিজনেসের কাছে আউটরিচ করতে শুরু করলাম আমার নিজস্ব কিছু ট্যাকটিকস এবং স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগিয়ে।
আমি আমার নিজের ক্যারিয়ারে অ্যাপ্লাই করা সেই সুপার ইফেকটিভ ট্যাকটিকস এবং স্ট্র্যাটেজিগুলো একটু পরেই সবার সাথে শেয়ার করবো৷ তাই সবাইকে অনুরোধ করছি এই ই-বুকের পরের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য
কারণ পরের সেকশনেই আমি দেখিয়েছি কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার কিছুপ্রুভেন টেকনিক এবং স্ট্র্যাটেজি ফলো করে মার্কে টপ্লেসের বাইরে হাইপেয়িং ফ্রিল্যান্স ক্লায়েন্ট পেতে পারেন।
কি? রেডি তো? চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হাইপেয়িং ক্লায়েন্টদেরকে সার্ভিস দিতে চান, তাহলে সবার আগে তাকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে নিশ সিলেক্ট করা, যেটাকে ইংরেজিতে Niching Down বলা হয়। Niche বা নিশ শব্দের অর্থ হচ্ছে ক্যাটাগরি। এখানে নিশ ডাউন করা বলতে আমি বুঝিয়েছি একজন ফ্রিল্যান্সার কোন ধরণের ইন্ডাস্ট্রি, কোন ধরণের সেগমেন্ট বা কোন ধরণের ক্লায়েন্টদেরকে নিজের সার্ভিস দিতে চান সেটা স্পেসিফাই করে ফেলা।
নিশ ডাউন করার পরের কাজটা খুবই ইম্পর্ট্যান্ট। সেটা হচ্ছে এনাফ মার্কে ট রিসার্চ করা। মার্কে ট রিসার্চ করার জন্য প্রয়োজন কম্পিটিটরদের ওপর স্পাইং করা এবং রিসেন্ট ট্রেন্ডের ওপর নজর রাখা।
এক্ষেত্রে সবার জন্য একটা লাইফ চেইঞ্জিং লাইন বলতে চাই। সেটা হলো “Riches are in the niches.” কি? খুব ক্যাচি লাগলোনা? এই লাইনটা কিন্তু শুধুমাত্র একটা ক্যাচি লাইনই নয়, বরং এটার মিনিং এতটাই ডিপ যে এই লাইনটা একজন ফ্রিল্যান্সারকে বছরের পর বছর স্ট্রাগলের হাত থেকে সেভ করতে ক্যাপাবল। কিভাবে? বলছি
একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য নিশ সিলেকশনের প্রসেসটা শুরু করতে হবে একটা সেক্টর বা একটা ইন্ডাস্ট্রি দিয়ে। আবার চাইলে একটা নিশকে ডিপ ডাউন করে ফেলাও যেতে পারে! যেমন আমার একজন ফ্রেন্ড শুধুমাত্র যে ছোট মার্কেটিং এজেন্সিগুলোকেই টার্গেট করে তা নয়, একইসাথে সে শুধুমাত্র সোলার মার্কেটিং এজেন্সির সাথে কাজ করে যারা শুধুমাত্র ফেসবুক অ্যাড বানায়।
সুতরাং এভাবে নিশ ডাউন করলে বেপারটা সহজ হয়ে যায়। আমি জানি এখন অনেকেই বলবেন যে, তারা অন্যান্য বিজনেসকেও সার্ভ করতে চান কারণ সেখান থেকেও ভালো পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করা পসিবল। নিজের জন্য একটা স্পেসিফিক ফোকাস বা টার্গেটেড এরিয়া খুঁজে পাওয়া অনেক সহজ।
কিন্তু আপনারা একটা কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন? “Jack of all trades, master of none.” এই কথাটা কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও সত্যি৷
ধরুন, যদি আপনার কোন সার্জারির প্রয়োজন হয় তাহলে কি আপনি কোন স্পেশালিস্ট সার্জনের কাছে যাবেন? নাকি কোন পরিচিত সাধারণ ডাক্তারের কাছে যাবেন? নিশ্চয়ই আপনি স্পেশালি সার্জনের কাছেই যাবেন। কারণ একজন স্পেশাল সার্জন জানেন তিনি কি করছেন, তিনি এক্সপেরিয়েন্সড এবং তার স্কিলের কারণেই তিনি জানেন ঠিক কোন ধরনের সমস্যায় কিভাবে সার্জারি করতে হবে যা একজন সাধারণ ডাক্তার জানেন না।
আশা করি এখন বুঝতে পারছেন যে, ঠিক কোন কারণে আমি বলেছি শুরুতেই একটি নিশের দিকে ফোকাস করতে। এমন কিন্তু নয় যে, একের বেশি নিশের দিকে ফোকাস করা যাবেইনা। বরং সবচেয়ে ভালো হয় যদি একজন ফ্রিল্যান্সার শুরুতেই একটা স্পেসিফিক নিশে নিজের অথোরিটি বিল্ডআপ করে তারপর অন্য নিশে ফোকাস শিফট করেন।
যেমনঃ আমাজনের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। এই আমাজন কিন্তু তার জার্নির শুরুর দিকে অনলাইন বুকশপ নিশে ফোকাসড ছিলো। এই নিশে সাকসেসফু ল হওয়ার পরেই কিন্তু তারা সেলিংয়ের দিকে ফোকাস শিফট করে ও হিউজ সাকসেস পায়।
আমরা সবাই জানি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা অনেক। এ কারণে একজন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার জন্য অনেক ফ্রিল্যান্সারই অফার সেন্ড করে থাকেন। তাহলে কিভাবে অনেকজন ফ্রিল্যান্সারের মাঝে থেকেও ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন? আমি ই বলে দিচ্ছি। ক্লায়েন্টকে Irresistible অফার সেন্ড করার মাধ্যমে!
Irresistible কথাটার মানে জানেন? ইরেজিস্টেবল বলতে আটকানো যায়না এমন কিছুকে বোঝানো হয়৷ যখন একজন ফ্রিল্যান্সার কোন একজন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে চান, তখন তার রেস্পন্সিবিলিটি হচ্ছে সেই পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টকে এমন ধরণের অ্যাট্রাকটিভ অফার শো করা, যা দেখে ক্লায়েন্ট কনভিন্সড হয়ে যান এবং সার্ভিস পারচেজ করেন।
গডফাদার ম্যুভিতে একটা লাইন আছে, “Make them an offer that they can’t resist.” অর্থা ৎ এখানে Irresistible অফার বলতে আমি এমন ধরণের অফারকে বুঝিয়েছি যা দেখার পর পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে সার্ভিস পারচেজ না করে থাকতেই পারবেননা!
ফ্রিল্যান্সারদের Irresistible অফার ক্রাফটিং করতে হেল্প করার উদ্দেশ্যে আমি একটা অফার টেমপ্লেট শেয়ার করছি।
হুক
এমন কিছুযা ক্লায়েন্টদের এনগেজ করে। এক্ষেত্রে ক্যাচি একটা হেডলাইন দিতে পারেন।
পেইন পয়েন্টস
ক্লায়েন্টদের বর্তমানে ফেস করা প্রবলেমগুলো তুলে ধরুন।
সলিউশন
এখানেই ফ্রিল্যান্সারদের গেম চেঞ্জ করে দেয়ার সুবর্ণ সুযোগ। কিভাবে তাদের প্রবলেম সলভ করতে আপনি ক্যাপাবল সেটা মেনশন করুন।
ক্রেডেনশিয়ালস
নিজের কাজের এক্সপেরিয়েন্স তুলে ধরুন।
বেনিফিট
নিজের সার্ভিস প্রোভাইড করার ফিচারকে বেনিফিটে কনভার্ট করুন৷ ক্লায়েন্টকে বোঝানোর ট্রাই করুন আপনার কাছ থেকে সার্ভিস নিলে সে কী বেনিফিট পেতে পারে।
সোশ্যাল প্রুফ
এখানে নিজে প্রিভিয়াসলি ক্লায়েন্টদের যে কোয়ালিটিফু ল সার্ভিস প্রোভাইড করেছেন সেগুলোর টেস্টিমনিয়াল শো করুন৷ যদি ক্লায়েন্ট টেস্টিমনিয়াল না থাকে তাহলে কোনো ক্লায়েন্টকে ফ্রিতে সার্ভিস দিয়ে হলেও এটা কালেক্ট করুন৷ এর পাশাপাশি ক্লায়েন্টের সাথের পজিটিভ কনভারসেশনের স্ন্যাপশটও শেয়ার করতে পারেন।
Irresistible অফার ডিটেইলস
অফার ডিটেইলে ক্লায়েন্টের সাথে শেয়ার করুন নিজের সার্ভিসের মাধ্যমে কিভাবে তার প্রবলেম সলভ করবেন। পাশাপাশি বোনাস অফারের ব্যাপারে মেনশন করতেও কিন্তু ভোলা যাবেনা কোনোভাবেই।
সার্ভিসের প্রাইস রিভিল করুন
একজন পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট কনভিন্সড হবেন কিনা সেটা অফারের এই পারটিকু লার সেকশনের ওপর অনেকটাই ডিপেন্ডেন্ট। এক্ষেত্রে সার্ভিসটা দেয়ার জন্য যা অ্যাকচুয়াল ভ্যালু তার চাইতে এটলিস্ট ৩ গুণ কম প্রাইস মেনশন করুন। এতে করে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবেন কতটুকু ভ্যালুর কাজের জন্য কতটুকু কম প্রাইস চাওয়া হয়েছে। এটা ক্লায়েন্টকে কনভিন্স করতে অনেক হেল্পফু ল একটা ট্রিক।
Scarcity
অফারটাকে লিমিটেড টাইম অফার হিসাবে প্রেজেন্ট করুন৷ বলতে পারেন অমুক মাসের জন্য মাত্র অতগুলো স্লট খালি আছে।
গ্যারান্টি
মানি ব্যাক গ্যারান্টি অফার করতে ভুলবেননা।
কল টু অ্যাকশন
পোলাইটলি ক্লায়েন্টের কাছে জানতে চাইবেন নিজের সার্ভিস পারচেজ করা নিয়ে তার ইন্টারেস্ট সম্পর্কে ।
ওয়ার্নিং
ক্লায়েন্টকে মনে করিয়ে দিন এই অফারটা না নিলে তাদের এক্সিস্টিং প্রবলেম কিভাবে আরো বেড়ে যেতে পারে।
রিমাইন্ডার
সেকেন্ডবারের মতো ক্লায়েন্টকে জিজ্ঞেস করুন পারচেজ সম্পর্কে তার ইন্টারেস্টের ব্যাপারে।
এবার আমি কথা বলব একটা ইম্পরট্যান্ট বিষয় নিয়ে, সেটা হচ্ছে কিভাবে নিজের সার্ভিসকে প্যাকেজিং করা যায়৷ সার্ভিস প্যাকেজিং কে একদিক দিয়ে Irresistible অফার ক্রাফটিংও বলা যায়। কিন্তু ডিফারেন্স হলো একটা Irresistible অফার পেইজের নিজস্ব সেলস পেইজ থাকে, যা সার্ভিস প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে থাকেনা। আমি আরেকটুডিটেইলে বলছি ব্যাপারটা।
আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই বিভিন্ন ফেমাস ওয়েবসাইটে দেখেছেন যে তারা বেসিক, আপগ্রেডেড এবং প্রিমিয়াম এ তিন ধরনের প্যাকেজের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদেরকে তাদের সার্ভিস অফার করে থাকে। সার্ভিস প্যাকেজিং এর কাজটা কিন্তু এভাবেই করতে হয়।
কেন জানেন? সব ক্লায়েন্টের বাজেট কিন্তু সমান থাকে না। ধরা যাক কোন একটা সার্ভিসের জন্য একজন ক্লায়েন্টের বাজেট 100 ডলার এবং আরেকজন ক্লায়েন্টের বাজেট 50 ডলার। এখন যদি একজন ফ্রিল্যান্সার কেবল মাত্র 100 ডলারের বিনিময় ক্লায়েন্টদেরকে সার্ভিস অফার করে থাকেন, তাহলে কিন্তু যিনি 50 ডলার বাজেট হোল্ড করে তিনি সেই ফ্রিল্যান্সারে কাজ থেকে সার্ভিস পারচেজ করতে পারবেননা। এমনটা যেন না হয় অর্থা ৎ ক্লায়েন্টের বাজেট যেমনই হোক তিনি যেন সার্ভিস পারচেজ করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার জন্যই সার্ভিস প্যাকেজিং করা হয়ে থাকে। সার্ভিস প্যাকেজিং করা হলে একজন ক্লায়েন্টের সার্ভিস নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রাইস ব্যারিয়ার থাকেনা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে একেকটা সার্ভিস প্যাকেজিংয়ে প্রাইস কিভাবে ভ্যারি করবে? এক্ষেত্রে বিভিন্ন ফ্যাক্টর যেমন ডেলিভারি টাইম, রিভিশনের সংখ্যা, ক্লায়েন্টদেরকে সোর্সফাইল কিংবা কপিরাইট দেয়া হবে কিনা, ট্রান্সপারেন্ট png, ৩ থেকে ৪টা কনসেপ্ট, 24 ঘন্টা অ্যাভেলেবলিটি ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে একেকটা প্যাকেজের প্রাইস একেকরকম হবে। মূল কথা হচ্ছে আপনি যেই সার্ভিস নিয়ে কাজ করবেন সেটাকে প্রপারলি ইন্ডাস্ট্রি এন্ড অডিয়েন্স অনুযায়ী রিসার্চ করে প্রাইসিংটা সেট করবেন।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য হাই পেয়িং ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে কোল্ড ইমেইল কিন্তু খুব ইফেক্টিভ ভূমিকা পালন করে। কোল্ড ইমেইল বলতে এমন এক ধরনের স্পেসিফিক ইমেইলকে বোঝানো হয় যেটা অপরিচিত পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদেরকে সেন্ড করা হয়। এই ইমেইল এমন ভাবে লেখা হয়ে থাকে যাতে করে এটা পড়ামাত্রই পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট কোন একজন ফ্রিল্যান্সারের অফার করা সার্ভিস সম্পর্কে ইন্টারেস্টেড হন এবং পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকেই সার্ভিস পারচেজ করেন।
বর্তমানে যারা ফ্রিল্যান্সিং প্রফেশনাল সাথে ইনভলভড রয়েছেন, তারা নিজেদের মনের মত ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে এবং নিজেদের স্কিলের বিনিময় ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে যে পরিমাণ পেমেন্ট ডিজার্ভ করেন, সে পরিমাণ পেমেন্ট পাওয়ার জন্য কোল্ড ইমেইলের সাহায্য নিয়ে থাকেন।
ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে কোল্ড ইমেইল সেন্ড করা অত্যন্ত ইফেক্টিভ হলেও সবাই কিন্তু এই ইমেইল ক্যাম্পেইনে সাকসেসফু ল হতে পারেন না। কেন জানেন? কারণ তারা জানেনইনা কোল্ড ইমেইল এর প্রপার সিস্টেম এবং সঠিক ফরম্যাট কোনটি।
আমি রিয়ালিটির ওপর বেস করে একটা কথা বলি। যেহেতু একজন ক্লায়েন্ট রেগুলার বেসিসে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে কোল্ড ইমেইল রিসিভ করে থাকেন, তাই যদি আপনার সেন্ড করা ইমেইল এনাফ অ্যাট্রেক্টিভ ওয়েতে লেখা না হয়, তাহলে কিন্তু সেটা ক্লায়েন্টকে কখনোই সার্ভিস পারচেজ করতে কনভিন্স করতে পারবেনা। এক্ষেত্রে পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট হয়তো আপনার সেন্ড করা ইমেইলটা ওপেনও করবেনা।
তাই একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে বেশি বেশি ক্লায়েন্ট পেয়ে যদি লং-টার্মেসাকসেস অ্যাচিভ করতে চান, তাহলে কোল্ড ইমেইলের ফরম্যাট কেমন হবে সেটা জেনে রাখা কিন্তু ম্যান্ডেটরি। এই সেকশনে আমি কোল্ড ইমেইলের একটা টেমপ্লেট শেয়ার করবো, যেটা আমি নিজে ক্লায়েন্টদের সেন্ড করতে ইউজ করি। সাথে এক্সামপল হিসেবে আমার গ্রাফিক সার্ভিসের একটা প্রি-ফিলড কেস স্টাডিও পাবেন, যেটা সবরকম ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিসের ক্ষেত্রেই অ্যাপ্লিকেবল হবে।
Some Examples
Hello (Client Name), My name is (Your Name), and I’m the (Your Job Title) (Name of Product/Service/ Business). We help (Who does your solution help and how does it help them). (Write 1 sentence explaining in greater detail what your solution does.). (Write 1 sentence explaining why your solution is so beneficial to your prospect.). What would be the best way to get 15 minutes on your calendar to discuss whether this is something you’d find valuable? Cheers, (Your Name)
Pre-Filled Example
Now let me help you fill that up with my graphic design services as an example
Subject: A Question For Your Team
Hello Ashley,
My name is Arif, and I’m the Founder/CEO of Graphic Solo. We design highly-attractive graphics for marketing agencies that are short on time or money.
Simply give us your creative brief, and our team will get back to you with the fastest turnaround possible.
Rest assured, we have a brilliant team of designers, having served international clients for the past 5 years. Whether you need social media posts, logo design, brochures, ebooks, or infographics -- we got you covered.
What would be the best way to get 15 minutes on your calendar to discuss whether this is something you’d find valuable?
Cheers,
Arif
Hi (Client Name),
I’m sorry to trouble you again. With my (What’s an adjective that describes your solution?) (Type of Product/Service You Sell), you can (What’s something the prospect can do with your solution? ), and help you’re (What are 2 things (separated by an “and”) that your solution will help the prospect do?).
Although (Name of Your Product/Service/Business) (Why would someone expect to pay a lot of money for your solution?), I’m making my (Type of Product/Service You Sell) available (Why is your solution a great value?).
Who would be the person to speak to about this at (Prospect’s Company Name)?
Thanks,
(Your Name)
Pre-Filled Example
Subject: Knock, Knock... Anyone there?
Hi Ashley,
I’m sorry to trouble you again. With my skill-set as a designer, you can transform your social media posts into eye-catching pieces of art, build a better brand with my understanding of color and font psychology, and help your marketing team attract more customers and ultimately close more sales.
Although GraphicSolo uses the same design techniques used by professional designers, I’m making my graphics services available for a fraction of what they charge.
Who would be the person to speak to about this at XYZ Company?
Thanks,
Arif
Hey (Client Name),
I wanted to make sure you saw my earlier message. I’d like to learn about the (What type of challenge does the prospect face that your solution will solve? ) challenges at (Prospect’s Company Name).
If you’re the appropriate person to speak with, what does your schedule look like next week? If not, who do you recommend I talk to?
--(Your Name)
Pre-Filled Example
Subject: Am I Contacting The Right Person?
Hey Ashley,
I wanted to make sure you saw my earlier message. I’d like to learn about the design challenges at your Company.
If you’re the appropriate person to speak with, what does your schedule look like next week? If not, who do you recommend I talk to?
--Arif
এ সেকশনে আমি শেয়ার করব কিভাবে কোল্ড আউটরীচ এর মাধ্যমে সোশাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনে সাকসেসফু ল হতে পারবেন৷ শুরুতেই বলি কোল্ড আউটরিচ নিয়ে। এই কনসেপ্টটা বোঝানোর জন্য আমি খুব সহজ একটা এক্সাম্পল ব্যবহার করছি। ধরুন একজন সেলসম্যান একটা প্রোডাক্ট সেল করার জন্য প্রতিটা বাড়ির দরজায় নক করছেন, যাতে করে কেউ না কেউ এসে প্রোডাক্টটা কিনার জন্য ইন্টারেস্টেড হয়৷
বলুনতো এই যে তিনি প্রতিটা দরজায় নক করছেন এখান থেকে কি পরিমাণ সেল হতে পারে? তিনি যদি প্রতিদিন ৫০ টা বাড়িতে নক করতে পারেন তাহলে একটা বড় সম্ভাবনা থেকে যায় যে এই ৫০টা বাড়ির মধ্যে ২৫ জন বাড়ির মেম্বার দরজা খুলে দেবেন, ১০ জন তার কথা শুনবে, ৫ জন তার কথা থেকে ইনফ্লুয়েন্সড হয়ে প্রোডাক্টটা পারচেজ করতে চাইবেন এবং লাস্টলি ২ জন সেই প্রোডাক্টটা পারচেজ করবেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোল্ড আউটরীচ এর প্রসেস কিন্তু প্রায় সেইম বলা চলে৷
সোশ্যাল মিডিয়াতে কোল্ড আউট্রিচ কে নাম্বার গেম বলা হয়ে থাকে। অর্থা ৎ আপনি যত বেশি পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টের কাছ থেকে রিচ করতে পারবেন আপনার সেল বাড়ার সম্ভাবনা কিন্তু সেই হারে বাড়তে থাকবে। কিছুক্ষণ আগে যে সেলসম্যানের কথা বললাম, তিনি যদি প্রতিদিন মাত্র দশ জনের বাড়িতে নক করতেন, তাহলে কি হতো বলুনতো? তার সেল হওয়ার চান্স কিন্তু আরও কমে যেতে থাকতো৷ তিনি ৫০ টা বাড়িতে নক করার পর ২% সেল পেয়েছেন, যেটা কিন্তু কোল্ড আউট্রিচ এর ক্ষেত্রে মোটামুটি ডিসেন্ট একটা পার্সেন্টেজ।
এখানে ফ্রিল্যান্সারদেরকে একটা বিষয় বুঝতে হবে সেটা হচ্ছে, কোল্ড আউটরিচের প্রসেসকে এনজয় করা শিখতে হবে। এখন আমি জানি সবাই আমাকে বলবেন রিজেকশন পেতে তো কারোই ভালো লাগেনা, আর রিজেকশন যথেষ্ট হিউমিলিয়েটিংও বটে।
কিন্তু যখন হাই-পেয়িং ক্লায়েন্ট পেতে চাইবেন এবং লং-টার্মেনিজের সাকসেস নিশ্চিত করতে চাইবেন, তখন কিন্তু এই ধরনের চিন্তাভাবনা বাদ দিতে হবে।নিজের ইমোশনকে এক সাইডে রেখে চিন্তা করুন, এ কোল্ড আউটরিচ ক্যাম্পেইন হলো ফিউচারের জন্য ইনভেস্টমেন্ট, যেখানে কন্টাক্টের নেটওয়ার্কে র গ্রোথ হবে এবং পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো রিলেশনশিপ তৈরি হবে।
তার পাশাপাশি এখন আমি যেটা বলবো সেটাও মনে রাখার ট্রাই করুন, ডোন্ট ট্রাই টুসেল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন কারণ যত বেশি সেল করার চেষ্টা করবেন, ক্লায়েন্টদের সেটা তত বেশি ডেস্পারেট বলে মনে হবে আর এটা ইভেনচুয়ালি রিজেকশনের চান্সকে বাড়িয়ে দেয়। একারণে সেল করার চেষ্টা না করে টার্গেট অডিয়েন্স কী চায় সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।
তাদেরকে ভালো ভালো কোশ্চেন করুন, যাতে করে তাদের ডিমান্ড সম্পর্কে আইডিয়া পেয়ে যান। একই সাথে তাদের সাথে ভালো রিলেশনশিপ বিল্ডাপ করার চেষ্টা করুন। এটা করলে কি হবে জানেন, ফিউচারে বেশি বেশি সেল জেনারেট করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
আমি এখন একটা ফ্রেমওয়ার্ক আর একটা স্যাম্পল স্ক্রিপ্ট শেয়ার করব যেটা ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নিজেদের নিশ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন। তার পাশাপাশি আমি আমার এজেন্সির একটা ফিলড এক্সামপলও শেয়ার করবো।
যেহেতুসোশ্যাল মিডিয়াতে পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টের পাশাপাশি অন্যান্য সাধারণ ইউজাররাও থাকেন, তাই কারা টার্গেটেড অডিয়েন্স, অর্থা ৎ কোন ধরনের বা কোন গ্রুপের মানুষদের টার্গেট করে কোল্ড আউটরিচ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে, সেটা খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। তবে এই লিস্টটা ফলো করলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে৷ এই লিস্টে আমি মেনশন করেছি সোশ্যাল মিডিয়াতে লিড বা ক্লায়েন্ট কোথায় থাকে।
এগুলো ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার পেইজ বা নিউজফিড এক্সপ্লোর করতে হবে, হ্যাশট্যাগের হেল্প নিতে হবে ও সার্চ ফিল্টার প্রিসাইজড হতে হবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমি কিছুপরামর্শ দেবো। নিজের প্রস্পেক্টর সাথে কানেক্ট হওয়ার আগে কখনই তাদেরকে ম্যাসেজ সেন্ড করতে যাবেন না। কারণ তখন মেসেজটা স্প্যাম হিসেবে কাউন্ট হবে। যেটা অ্যাকাউন্টের জন্য মোটেও ভালো নয়। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতে স্প্যাম করা যাবে না এবং রুলস এন্ড রেগুলেশন মেনে কাজ করতে হবে।
কোল্ড আউটরিচ করার জন্য একটু আগে বলা সেলসম্যানের এক্সামপল ইউজ করেই কোল্ড আউটরিচ করার প্রসেস সম্পর্কে জানাবো এই সেকশনে। কোল্ড আউটরিচের প্রসেস হলো-
প্রতিদিন অন্তত ৫০ জন মানুষের কাছে রিচ আউট করার প্ল্যান রাখতে হবে। ২৫ জনের সাথে কনভারসেশন করতে হবে। নিজে কি করছেন সেটার প্রতি ১০ জনের ইন্টারেস্ট গ্রো করাতে হবে৷ ২ জনকে দিয়ে সার্ভিস পারচেজ করাতে হবে৷
যদি এভাবে এক মাসের বেশি সময় ধরে কাজ করতে থাকেন, তাহলে দেখতে পাবেন ধীরে ধীরে একটা সলিড নেটওয়ার্ক বিল্ডআপ হচ্ছে এমন মানুষজনকে ঘিরে, যারা আপনাকে চেনে। এর মধ্যে কয়েকজন থাকবে যারা আপনাকে পছন্দ করবে এবং কয়েকজন থাকবে যারা আপনাকে ট্রাস্টও করবে৷ এই নেটওয়ার্কটা সময়ের সাথে আরো গ্রো করতে থাকবে, যদি মন দিয়ে ও প্যাশনের সাথে কনসিসটেন্টলি কাজ করতে থাকেন। এরপর দেখতে পাবেন হাইপেয়িং ক্লায়েন্টও পাচ্ছেন। তবে সব সময় মনে রাখতে হবে যে, সেল করার চেষ্টা করা যাবে না। বরং এর পরিবর্তে রিলেশনশিপ ডিলিট করার চেষ্টা করতে হবে।
মেসেজ স্ক্রিপ্ট for DM
টার্গেটেড অডিয়েন্সের অ্যাকশন বোঝা।
- তারা কি আপনার পোস্টে এনগেজড হয়?
- আপনাকে ফ্রেন্ড হিসাবে নিজের প্রোফাইলে কি অ্যাড করেছে?
তাদের বিজনেসের টাইপ কেমন।
- I noticed you do X
তাদের গোল কী?
- How’s their year been going?
- What’s your goal?
- How far off are you?
স্ট্রাগল
- What do you feel like is holding you up or slowing you down?
পাস্ট ইফোর্ট
- What have you tried already to fix that?
ক্লোজ ইট অ্যান্ড বুক ইট
Acknowledge their answer first
- I’ve had a lot of success with X. I’d be happy to lend some advice if you’re interested?
- Do you have ten minutes right now?
- If not then book it for asap or the lead will cool down
যদি তারা রিপ্লাই না দেয়, রিএনগেইজ করার ট্রাই করুন।
- sorry if that came off weird. I was just trying to help. Hope all is well!
বুকিং এনশিওর করুন
(প্রথম মেসেজ)
Right on. Just click the link here and you will be taken to a questionnaire (which takes 30 seconds), this basically gives me a better idea of where you are at so we can be as productive as possible on the call, after that you will be prompted to book a call with me.
(দ্বিতীয় মেসেজ)
Drop links
(তৃতীয় মেসেজ)
Just let me know once you booked the call so I can confirm it.
Prefilled Example
Message 1
Hey thanks for ‘engaging with my post’ or ‘adding me as your as a friend’
Message 2
I see that you are in the digital marketing industry.
Message 3
How’s your year going so far? What’s your goal?
Message 4
What’s holding you back?
Message 5
What have you tried already to fix it?
Message 6
I’ve had a lot of success with designing highly-attractive graphics for marketing agencies that are short on time or money. I’d be happy to lend some advice if you’re interested?
Message 7
Right on. Just click the link here and you will be taken to a questionnaire (which takes 30 seconds), this basically gives me a better idea of where you are at so we can be as productive as possible on the call, after that you will be prompted to book a call with me.
Message 8
(link to your questionnaire, I use google forms to collect data like name, email, ) (link to your calendar, I use calendly to schedule calls) যদি তারা রিপ্লাই না দেয়, রিএনগেইজ করার ট্রাই করুন। - sorry if that came off weird. I was just trying to help. Hope all is well! বুকিং এনশিওর করুন (প্রথম মেসেজ) Right on. Just click the link here and you will be taken to a questionnaire (which takes 30 seconds), this basically gives me a better idea of where you are at so we can be as productive as possible on the call, after that you will be prompted to book a call with me. (দ্বিতীয় মেসেজ) Drop links (তৃতীয় মেসেজ) Just let me know once you booked the call so I can confirm it.
Message 9
Just let me know once you booked the call so I can confirm it.
ইনবাউন্ড মার্কেটিং সম্পর্কে ডিটেইলস বলার আগে আমি ইনবাউন্ড এবং আউটবাউন্ড মার্কেটিং এর মধ্যকার ডিফারেন্স সম্পর্কে বলতে চাই৷ আউটবাউন্ড মার্কেটিংকে ওল্ড স্কুল মার্কেটিংও বলা হয়। বিভিন্ন বিলবোর্ডে, ইমেইলে ম্যাগাজিনের বিজ্ঞাপনে, অথবা টিভি কমার্শিয়ালে যেসব জিনিসের অ্যাডভারটাইজিং দেখেছেন, সেগুলোর প্রতিটা কিন্তু আউটডোর মার্কেটিংয়ের এক্সাম্পল।
এই আউটবাউন্ড মার্কেটিংয়ের কনটেন্টগুলো কম্পারেটিভলি অনেক অ্যাগ্রেসিভ টোনের হয়ে থাকে এবং অনেক ক্যাচি ওয়েতে তৈরি করা হয়ে থাকে, যাতে করে এটা অন্যান্য অনেক অ্যাডভারটাইজমেন্ট থাকা সত্বেও কাস্টমারদের কাছে স্ট্যান্ড আউট করতে পারে।
আউটবাউন্ড মার্কেটিংয়ের ক্যাম্পেইন গুলোর ইফেক্টিভেনেস এবং প্রতিটা মার্কে ট থেকে কি পরিমান সেল জেনারেট হতে পারে সেটা মেজার করা বেশ ডিফিকাল্ট।
বিভিন্ন বড় বড় ব্র্যান্ড যেমন কোকাকোলা কিংবা ম্যাকডোনাল্ডসের কথা চিন্তা করুন। তারা সব সময় বিভিন্ন আউটবাউন্ড মার্কেটিংয়ের প্রসেস ফলো করে তাদের প্রোডাক্টগুলোর মার্কেটিং করে থাকে। কারণ, তারা সব সময় তাদের পটেনশিয়াল কাস্টমারদের নজরে থাকতে চায়। এবং তারা এই মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনার যে খরচ সেটাও অ্যাফোর্ড করার ক্ষমতা রাখে৷
অন্যদিকে ইনবাউন্ড মার্কেটিংকে নিউ এইজ মার্কেটিং বলা হয়। আউটবাউন্ড মার্কেটিংয়ের সাথে ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের মেইন ডিফারেন্সটাই হল ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ে বিভিন্ন অনলাইন বেইজড প্ল্যাটফর্মঃ যেমন, সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন বা ওয়েবসাইট ব্লগ ইত্যাদির মাধ্যমে কারা একটা কোম্পানির ক্লায়েন্ট হতে পারেন সেটা আইডেন্টিফাই করে পরবর্তীতে তাদের সামনে অ্যাট্রাকটিভ কন্টেন্ট প্রেজেন্ট করে তাদের কোনো সার্ভিস পারচেজ করতে ইনফ্লুয়েন্স করা হয়।
আরো স্পেসিফিক এক্সাম্পল হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ব্লগ, লিড ম্যাগনেট, চিটশীট, ওয়েবিনার, রিপোর্ট ইত্যাদি কনসিডার করতে পারেন। ইনবাউন্ড মার্কেটিং ক্যাম্পেইন যে ভ্যালু প্রোভাইড করে থাকে, সেটাও জেনারেলি অনেক বেশি।
এই ধরনের ক্যাম্পেইনে খুব জেন্টেল ওয়েতে পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদের কাছে রিচ আউট করা হয়। কারণ যত বেশি জেন্টেল ওয়েতে ক্লায়েন্টদের কাছে রিচ আউট করা যাবে, ততো বেশি লয়্যাল ক্লায়েন্ট পাওয়ার চান্স বাড়বে, যা বেশি বেশি সেল জেনারেট হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেবে৷
তবে শুনতে সহজ মনে হলেও ইনবাউন্ট মার্কেটিং করা এতটা সহজ না। বিশেষ করে যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে তো আরো কঠিন। তাই যারা নতুন, তাদেরকে অ্যাডভাইস হিসেবে আমি বলবো পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের দিকে জোর দিতে। পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং টপিকটা আমি একটুপরেই কভার করছি।
ফ্রিল্যান্সিং বিজনেস এর শুরুর দিকে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের উপর জোর দেয়ার কোনো বিকল্প নেই। এরপর যখন বিজনেসের গ্রোথ হওয়া শুরু হবে, তখন একটা ছোট এবং এক্সপার্ট টিম হায়ার করে তাদেরকে দিয়ে ইনবাউন্ড মার্কেটিং করিয়ে নিতে পারেন।
বর্তমান সময়কার ইনবাউন্ড মার্কেটিং বা কনটেন্ট মার্কেটিংয়ে যিনি বেস্ট তিনি হলেন গ্যারি ভায়নারচাক। তিনি বিশ্বাস করেন নিজের বেস্ট ওয়ার্ক সবসময় বিলিয়ে দিতে হয়। এ কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার বড় সংখ্যক ফলোয়ার বেইজ রয়েছে। তিনি কিন্তু অসাধারণ একজন পাবলিক স্পিকারও বটে৷
এবারের সেকশনে আমি কথা বলবো পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং নিয়ে। পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং হলো এক ধরণের ইন্টেনশনাল ইফোর্ট যার মাধ্যমে সবার সামনে নিজেকে কোন একটা ইন্ডাস্ট্রির অথোরিটি হিসাবে প্রেজেন্ট করা হয়। পারসোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো পাবলিক পারসেপশন তৈরি করা ও তাদের ইনফ্লুয়েন্স করা। পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করার মাধ্যমে সবার কাছে নিজের ক্রেডিবিলিটি বাড়ানো যায় এবং নিজেকে বাকিদের থেকে বেটার পারসন হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরা যায়।
নিজের ক্যারিয়ারকে অ্যাডভান্সড লেভেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের কোন বিকল্প নেই। যদি প্রোপারলি এই কাজটা করতে পারেন, তাহলে বেশি সংখ্যক মানুষকে ইমফ্লুয়েন্স করতে পারবেন, যা লং- টার্মেসাকসেস এনে দিতে হেল্প করবে।
পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং ফ্রিল্যান্সিং বিজনেসের ব্র্যান্ডিংয়ের (কালার, ফন্ট, লেআউট, নেইম, স্লোগান, স্ট্র্যাটেজি) সাথে রিলেটেড। তবে এখানে ডিফারেন্স হলো পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ে আপনি কোম্পানি থেকে সেপারেট হয়ে নিজের জন্য আলাদা করে ব্র্যান্ডিং করছেন।
যদি এবার এক্সাম্পল দিতে চাই, অনেকেই রয়েছেন যারা ইনফ্লুয়ে ন্সার হিসেবে ইনস্টাগ্রামের হেলথ, ফিটনেস, সোশ্যাল মিডিয়া, মডেলিং, সিঙ্গিং, ট্রেইনার, কোচেস ইত্যাদি নিশে নিজেদের পার্সোনাল ব্র্যান্ড ক্রিয়েট করেছেন৷
পাশাপাশি আমি আরও কয়েকজনের নাম বলতে পারবো। তারা হলেন, টাই লোপেজ (ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স), ড্যান লক (কপিরাইটিং এবং হাই টিকেট সেলস), গ্যারি ভায়নারচাক (কনটেন্ট মার্কেটিং), ড্যান ওয়াকার (ব্র্যান্ডিং) এবং রাসেল ব্র্যানসন (সেলস ফানেলস)।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যগেু নিজের একটা পার্সোনাল ব্র্যান্ড থাকা খুবই পাওয়ারফু ল রোল প্লে করে। পিউডিপাই, যিনি একজন ফেমাস ইউটিউবার, তিনি তার ভিডিওর মাধ্যমে ২৭ বিলিয়ন ভিউজ অ্যাচিভ করেছেন।
তার ভিউজের পরিমাণ অনেক বড়, যেটা কোন একটা সিঙ্গেল কোম্পানিও এখনো ম্যাচ করতে পারেনি৷
তাছাড়া এখন অনেকেই রয়েছেন যারা টিকটক ইউজ করে সাকসেসফু ল হতে পারছেন, এই প্ল্যাটফর্মটা লিপ সিঙ্কিং এন্টারটেইনিং ভিডিওর জন্য ফেমাস৷
তবে শুরুটা কিভাবে করবেন? পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করার জন্য আপনি যে কাজ করেন সেটা সবাইকে জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু করুন৷
এটা হতে পারে নিজের বিজনেস, নিজের কোন শখ, বা নিজের লাইফস্টাইল। তারপর সেটা কন্টেন্টের মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করুন৷
আর ভিডিওর ক্ষেত্রে আমি জানি এখন অনেকেই বলবেন, যে তারা ক্যামেরা শাই বা তাদের পক্ষে এটা করা পসিবল নয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে রিয়ালিটি হচ্ছে আপনার লুক নিয়ে কেউ সেভাবে কেয়ারই করে না। তাই যখন আপনি ইন্টারেস্টিং কিছু করবেন, তখনই মানুষ আপনাকে ফলো করবে।
তাই বি ইয়োর সেল্ফ, বি অথেনটিক! নিজের কাজ সবার সাথে শেয়ার করুন৷ আর যে প্ল্যাটফর্মই ইউজ করুননা কেন, কনসিসটেন্সি মেইনটেইন করুন। দেখবেন পারসোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের বেনিফিট খুব দ্রুতই পেতে শুরু করবেন, কথা দিচ্ছি!
এখন আমি কথা বলবো ওয়েবসাইট নিয়ে। নিজের ওয়েবসাইট থাকা ম্যান্ডেটরি না হলেও যখন আপনার একটা ওয়েবসাইট থাকবে, তখন নিজের ফ্রিল্যান্সিং বিজনেসকে অন্যদের থেকে স্ট্যান্ড আউট করানো সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি সত্যি বলতে ওয়েবসাইট থাকা আসলে প্রফেশনালও বটে৷
ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বিজনেস ইমেইল থাকা আরো বেশি ভ্যালু অ্যাড করে। কারণ arif@graphicsolo. com কিন্তু [email protected] এর চাইতে অনেক বেটার ও প্রফেশনাল দেখায়। তাইনা?
ওয়েবসাইটে যদি এসএসএল সার্টিফিকে ট অ্যাড করা থাকে, যেমনঃ http, তাহলে ফরেইন ক্লায়েন্টরা আপনার সাথে বিজনেস ডিল করার সময় এটা ভেবে নিশ্চিন্ত থাকবেন যে তাদের ডাটা সিকিউরড আছে এবং প্রোটেক্টেড আছে।
ডোমেইন নেম পারচেজ করার ক্ষেত্রে আমি Godaddy বা Namecheap থেকে পারচেজ করতে সাজেস্ট করবো। ডোমেইন পারচেজ করার সময় ডটকম ডোমেইন পারচেজ করবেন এবং অবশ্যই একটা ক্যাচি ডোমেইন নেইম সিলেক্ট করবেন। কারণ বর্তমানে ডটকম ডোমেইন সবচেয়ে বেশি পপুলার এবং বিজনেসের ক্ষেত্রেও এটাই বেশি ব্যবহার করা হয়৷
আর হোস্টিং এর ক্ষেত্রে চাইলে Godaddy/Namecheap এর হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন অথবা আমার মত Bluehost ব্যবহার করতে পারেন। Bluehost এর পেজ লোড স্পীড অনেক স্মুদ এবং পেজ ডাউন টাইমও অনেক কম।
এবার আসা যাক কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ক্ষেত্রে। ওয়েবসাইট বানানোর জন্য আমি ওয়ার্ডপ্রেসকেই সাজেস্ট করব। ওয়ার্ডপ্রেস এমন একটা ওয়েবসাইট বিল্ডার যেখানে কোডিং ল্যাঙ্গুয়ে জ না জানা থাকলেও ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়৷ এলিমেন্টর নামক প্লাগিন ইউজ করতে পারেন যেখানে drag-and-drop পদ্ধতিতে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
রেফারেলের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে এবং এর প্রতিটারই আলাদা আলাদা বেনিফিট আছে৷ এক্ষেত্রে আমি সাজেস্ট করবো এমন ফ্রিল্যান্সারদের সাথে নেটওয়ার্কিং করতে যাদের স্কিল আপনার নিজের স্কিলকে কমপ্লিমেন্ট করে।
যেমন একজন গ্রাফিক ডিজাইনার কিন্তু খুব সহজেই একজন ওয়েব ডেভেলপার এর সাথে কোলাবরেশন করতে পারবেন ক্লায়েন্ট এর ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দেওয়ার জন্য। কারণ একজন ডিজাইনার ওয়েব ডেভেলপারকে ব্র্যান্ডিং, লে-আউট, ফন্ট এবং সাইটের ওভারঅল লে-আউট ডিজাইন করতে হেল্প করতে পারবেন।
এই দুইজন বিজনেস পার্টনার হিসেবে যেমন কাজ করতে পারবেন, তেমনি যে পরিমাণ আর্নিং আসবে সেটা শেয়ারের মাধ্যমেও কাজ করতে পারবেন। এছাড়া ওয়েব ডেভেলপার ক্লায়েন্টের কাছে সেই ডিজাইনারকে কিছু কমিশনের বিনিময়েও রেফার করে দিতে পারেন৷
এক্ষেত্রে রেফার করার পর যদি সেই ডিজাইনার কোন একটা ওয়েবসাইটের কাস্টম ডিজাইনিং করার জন্য ৫০০ ডলার চার্জ করে তাহলে সেই ৫০০ ডলারের মধ্যে ১০% কমিশনে ৫০ ডলার সেই ওয়েব ডেভেলপার পেয়ে যাবেন। এভাবে যদি ওয়েব ডেভেলপার প্রতিমাসে ওই ডিজাইনারকে ১০ জন ক্লায়েন্টের কাছে রেফার করে দিতে পারেন, তাহলে তিনি প্রতিমাসে কিছু না করেও ৫০০ ডলার কমিশন হিসাবে আয় করতে পারবেন। কি, একদম উইন উইন সিচুয়েশন না?
এছাড়াও একজন ডিজাইনার চাইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এজেন্সিতে অথবা ফেইসবুক এজেন্সিতে রিচ আউট করতে করতে পারেন। কারণ এই এজেন্সিগুলোর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং গ্রাফিক্স দরকার হয়৷ এছাড়াও চাইলে নিজের নিশের সিনিয়র ফ্রিল্যান্সারদের কাছে মার্কে ট রেটের চাইতে কম রেটে সার্ভিস দেয়ার জন্য রিচ আউট করতে পারেন।
তবে আমি এটা করতে সবাইকে রেকমেন্ড করবোনা। কিন্তু যদি এভাবে কাজ করেন, তাহলে নিজের পোর্টফলি ও অনেক ফাস্ট বিল্ড আপ করতে পারবেন, এবং পাশাপাশি প্রোপার মেন্টরশিপের আন্ডারে কাজ করতে পারবেন। আর লং-টার্মে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা আর্ন করতে পারবেন।
যদি আপনি আমার দেখানো মেথড অনুযায়ী নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারেন তাহলে ক্লায়েন্টের থেকে কাজ পাওয়ার কোন শেষ থাকবে না, পাশাপাশি প্রপার ফ্রিডমের সাথে কাজ করে নিজেই নিজের বস হতে পারবেন।
নিজের ক্যারিয়ারকে নেক্সট লেভেলে নিতে চাইলে এবং ক্লায়েন্ট জেনারেশন শিখতে চাইলে, আমাদের পেইড কোর্সে আপনি এনরোল করতে পারেন। আর যদি এখন আপনি এনরোলমেন্ট না করতে পারেন, তাহলে আমাদের ফ্রী ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক গ্রুপ টা ইউটিলাইজ করতে পারেন।
Blog Link: https://arifnotes.com/
Course Link: https://edu.arifnotes.com/
FB Group: https://www.facebook.com/groups/freedomfreelancerss
To your online success, Arif
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।