বিড়াল পালনের সঠিক নিয়ম গুলো জানতে পুরো লেখাটি পড়ুন। আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন বিড়াল পুষতে ভালোবাসেন। কিন্তু সঠিকভাবে বিড়াল পুষতে পারেন না।
আবার অনেকে বিড়ালের এত উপকারে কথা শুনেন বিড়াল পুষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা চাইলে এই পোস্টি পড়ে খুব সহজে বিড়াল পুষতে পারবেন। বিড়াল পালনের নিয়ম গুলো নিচে উল্যেখ করা হলোঃ
আপনি যদি বিড়ালকে পোষ মানাতে চান তাহলে খুব ছোট থাকতে বিড়াল নিয়ে আসুন। তবে কম পক্ষ ৩-৪ মাসের বিড়ালের বাচ্চা নির্বাচন করুন। এক্ষেত্রে এরা খুব সহজে পোষ মেনে যাবে।
যারা বিড়াল পালন করেন রাসূল (সা:) তাদেরকে লক্ষ করে বলেন। তোমরা কখনও বিড়ালকে খাবার ও পানীয়র কষ্ট দিবে না। বিড়ালকে নিয়িমত খাবার ও জল দিবেন। প্রত্যেক সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার দিয়ে গোসল দিবেন। এতে বিড়াল পরিষ্কার পরিছন্ন থাকবে। ফলে রোগ-বলায় হওয়ার সম্ভাবণা কমে যাবে।
বিড়াল এর কৃমি হলে কি করনীয় তা জানতে এই লেখাটি পড়ুন
বিড়াল মাংসাশী প্রাণী হওয়ায় এরা সাধারণত মাছ, মাংস, দুধ, ভাত, মাছের কাঁটা, গরু-ছাগলের হাড় ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারন করে। এছাড়াও বিড়াল পোকা-মাকড়, ইঁদুর ইত্যাদি প্রাণীদের শিকার করে থাকে। বিড়াল রাতে ও দিনে উভয় সময় শিকার করতে পছন্দ করে। তবে সাধারণত বিড়াল দিনের বেলায় চিলিং, খাটের নিচে ও অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় খাবার সন্ধ্যান করে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে অধিকাংশ বিড়াল প্রায় সব ধরনের খাবার খেতে অভ্যস্ত।
বিড়ালের অসুখ হলে কি করণীয় তা জানতে এই লেখাটি পড়ুন
বিড়াল নাপাক প্রাণী নয়। এবং বিড়াল পোষাও শরীয়া সম্মত জায়েজ আছে। কিন্তু বিড়াল যদি জানামাজ বা পোশাকে প্রস্রাব বা পায়খানা করে তাহলে সেখান নামাজ আদায় জায়েজ হবে না।
অন্যদিকে বিড়ালের উৎকৃষ্ট খাবার খাওয়া জায়েজ আছে। কিন্তু বিড়ালের লালা মানব দের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বিধায় সেই দিকে নজর দিতে হবে।
বিড়ালের মুখ ও লালা মানব দেহের জন্য খুবই বিপদজনক। যদি কখনও ভুলবশত বিড়ালের কামড় খান তাহলে তাৎক্ষণিক নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গুলো নিতে পারেন।
বিড়ালে কামড়ে আহত হলে প্রথমে ক্ষতস্থানের গভীরতা নিরূপণ করুন। ক্ষত কম হলে চিন্তার কারণ নেই। সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে সুস্থ্য থাকতে পারবেন। সাবান পানি জলাতঙ্কের জীবাণু বা ক্ষতিকারক ভাইরাসের হাত থেকে প্রটেকশন দিবে। অনেক সময় অ্যান্টিভায়োটিক র্যাবিস ভাইরাস বা জলাতঙ্কের জীবাণুর বিরুদ্ধে ভালো কাজ দেয় না। সেক্ষেত্রে সাবান পানি খুবই কার্যকরী একটি সমাধান।
এছাড়াও হাতের কাছে খুব সহজে সাবান পানি পাওয়া যায় বলে এটি ব্যবহার করাই উত্তম। এছাড়া ও স্যাভলন বা ডেটল ব্যবহার করা যেতে পারে। কামড়ের গভীরতা বেশি হলো বা অতিরিক্ত রক্তপাত হলে তা আবহেলা করা যাবে না। প্রথমে দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ করতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।
কিন্তু মনে রাখবেন রক্ত পড়া বন্ধ হলে ব্যান্ডেজ খুলে পেলতে হবে। অন্যথায় আলো বাতাস চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে জীবাণুতে সংক্রামিত হতে পারে। বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ের ফলে ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ অর্থাৎ জ্বর, ফোসকা পড়া, পেট বা পিঠে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে, বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে বাঁচা যায়।
হ্যা, মানব দেহের জন্য বিড়ালের লোম ক্ষতি কারক। কারণ এদের লোম খাবারের সাথে পেটে গেলে দেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে যেমন : হাঁপানি, কনজনকটিভাইটিস ইত্যাদি। এছাড়াও বিড়ালের বমি, মল এবং মূত্র থেকে টাইফয়েড ও হতে পারে।
এই প্রশ্নের উত্তরে প্রখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন। যেকোনো ধরনের পোষা পানি মারা গেলে তার মালিক চাইলে তার জন্য জান্নাতের দোয়া করতেই পারেন এখানে দোষের কিছু নেই। প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা থেকে দোয়া করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হাদিসে আছে প্রত্যেক পশু পাখিকে হাশরের ময়দানে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়ার পর তাদেরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হবে। সুতারং বুঝা যায় কোন পশুপাখি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তবে আল্লাহ চাইলে সবকিছু করতে পারেন।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের খুব বেশি উপকারে আসবে। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।