বিড়ালের অসুখ হলে কি করণীয় তা জানতে পুরো লেখা টি পড়ুন। পোষাপ্রাণী যেকোন সময় অসুস্থ্য হতে পারে। আপনার পোষা বিড়াল যদি অসুস্থ্য হয় তাহলে দ্রুত একজন পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
এসময় বিড়ালকে প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করতে দিন এবং বিড়ালের খাবার দাবারের প্রতি নজর দিন। কেননা এ সময় বিড়ালের খাবার দাবের ওপর অনীহা তৈরি হয়। ফলে আরোও দ্রুত অসুস্থ্য হয়ে পড়তে পারে।
কি করে বুঝবেন আপনার পোষা বিড়ালটি অসুস্থ্য হয়েছে কিনা? জানতে এই লক্ষণ গুলোর প্রতি নজর দিন।
আপনার পোষা বিড়ালটি যদি অসুস্থ্য হয় বা জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে তার শরীরের তাম মাত্রা পরিক্ষা করুন। স্বাভাবিকভাবে বিড়ালের শরীরের তাপমাত্রা 100 থেকে 102.5 ডিগ্রী ফারেনিহাইট হয়ে থাকে।
পরিক্ষা করে দেখেন যদি এই তাপমাত্রা 103 ডিগ্রী বা তার চেয়ে বেশি তাহলে খুব দ্রুত একজন পশু শরণাপন্ন হোন।
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পোষা বিড়ালের নানা প্রকার অসুখ দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে কমন একটি রোগ হলো ' ক্যাট ফ্লু' অর্থাৎ ঠান্ডা লাগা। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ।
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক বিড়ালদের এ সমস্যা দেখা যায় না। তবে বাচ্চা বিড়াল এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। আপনার পোষা বিড়ালের যদি ঠান্ডা লাগে এবং নাক ও কান দিয়ে পানি বা তরল বের হয় তাহলে তা একটু পর পর শুকনো ত্যানা বা টিস্যু দিয়ে মুছে দিন। এবং বিড়ালকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও উষ্ণ স্থানে রাখুন।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। খাবারের অরুচির কারণে খেতে না চাইলে জোর করে পানি ও খাবার খাওয়াতে হবে। অন্যথায় আরোও বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়বে। ১/২ ফোঁটা নরসল ড্রপ দিয়ে কটনবাড ভিজিয়ে চোখ ও নাক ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিতে হবে। তবে বেশি সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত একজন পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
বিড়ালের পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া দেখা দিলে ওরস্যালাইন পরিমান মতো পানির সাথে মিশিয়ে পান করতে দিতে হবে। এবং নরম খাবার দাবার যেমন: মুরগীর মাংস সিদ্ধ, কুমড়ো সিদ্ধ বা মুরগী সিদ্ধ পানি খেতে দিতে হবে। এছাড়াও ভাত, মাছ, মাংস জাতীয় খাবার ব্লেন্ড করে দিতে হবে। খাবারের সাথে Petme Probiotic মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এটি ভালো কাজ করে এবং পানিশূন্যতা দূর করে। এক থেকে দুই দিন নিয়মিত Petme Probiotic খাওয়া ডায়রিয়া সেরে ওঠবে। তবে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি কোন পরিবর্তন দেখা না যায় তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ভেট এর পরামর্শ নিতে হবে।
আপনার বিড়াল যদি সঠিক সময়ে পায়খানা না করে বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তাহলে তাকে ফাইবার বা আঁশ যুক্ত খাবার এবং প্রচুর পরিমানে পানি পান করান। সাধারণত মানুষদের মতো বিড়ালদেরও অন্ত্রের বাধার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এসময় মাছ, মাংস, ভেজা খাবার বা টিনজাত খাবার খাওয়ানো যেতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন: পিউরি ও ওট ব্রান খাওয়ালে মল ত্যাগে সহজ হয়।
মূলত ডিহাইড্রেশনের কারণে বিড়ালদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই লক্ষ করুন আপনার বিড়াল কি কি খাচ্ছে। তারপর সেই ডায়াট পরিবর্তন করে কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা না হওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। তবে আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার বিড়াল ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ দুই দিনের বেশি সময় ধরে পায়খানা করছে না। একই সাথে বমি বা অস্বস্তির লক্ষণ দেখা যায়। তাহলে খুব দ্রুত একজন পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।