আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস বা ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ রচনা টি ৩০০ শব্দ দিয়ে বানানো। এই রচনা টি ক্লাস 3, 4, 5, 7, 8, 9, 10 সবার কাজে আসবে এবং ফুল মার্কস পেতে সাহায্য করবে।
Table of Contents
বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি একটি স্বরণীয় অধ্যায়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ হওয়ার শুরু থেকেই পশ্চিম-পাকিস্তানি জনগোষ্ঠীরা বাঙ্গালীদের অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্থানিদের সাথে সকল ক্ষেত্রে বৈশষম্য শুরু করে। পরবর্তীতে ভাষা নিয়ে মত বিরোধ করলে বাঙ্গালীরা বিক্ষোপ জানায়। বহু আন্দোলন ও ত্যাগের পর সর্বশেষ ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘বাংলা’ বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা হয়।
বাঙ্গালীরা বিশ্বের প্রথম জাতি যারা নিজেদের ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে ভাষার আত্নত্যাগের এই বিরল ঘটনাকে স্বরণীয় করতে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
বিট্রিশ শাসনের অবসানের পর ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হয় । কিন্তু ক্ষমতাশীল থাকায় পশ্চিম-পাকিস্তানিরা প্রথমেই আমাদের ভাষাকে নিয়ে চক্রান্ত শুরু করে। পাকিস্তানিদের গর্ভনর মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বক্তৃতায় ঘোষনা করেন উর্দুকে দেশের রাষ্ট্রভাষা করার। কিন্তু বাঙ্গালীরা তার তীব্র বিক্ষোপ জানায় এবং ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। পাকিস্তানি সরকার বাঙ্গালীদের সেই আন্দোলন থামাতে ১৪৪ ধারা জারি করে। শুরু হয় ছাত্রদের মিছিল। ১৪৪ ধারা জারি ভঙ্গ করে এগিয়ে চলে সেই মিছিল। ১৯৫২ সালে সেই মিছিলে রাজপথে শহীদ হন অনেকেই। তারা সকলেই ভাষা শহীদ নামে পরিচিত।
১৯৯৯ সালের ১৭ই নম্ভেম্বর এ ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোদের সাধারণ পরিষদে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বাঙ্গালী জাতির এটি বিরল গৌরব। বাঙ্গালীদের এই ভাষার জন্য তাদের আত্নত্যাগের মর্মান্তিক ঘটনা বিশ্বের সকল জাতির কাছে মর্যাদা লাভ করে।
মাতৃভাষা দিবস বাঙ্গালীর কাছে একটি স্বরণীয় দিন। ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে নানা ভাবে উৎযাপিত হয় মাতৃভাষা দিবস।
২১শে ফেব্রুয়ারি মহান মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও সরকারি কার্যালয় গুলোতে উৎসবের আয়োজন করা হয় এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বই মেলা বাংলা একাডেমির কৃতিত্বে ২১শে ফেব্রুয়ারি নিবেদিত হয়।
আমরা প্রথম জাতি যারা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠা করার জন্য জীবন দিছে। মাতৃভাষা জন্য জীবন দেয়ার ঘটনা পৃথিবীতে আর নেই। আর সেই ফলসরূপ বিশ্ববাশী স্বীকৃতি দিয়েছে আমাদের এই বাংলা ভাষাকে। বিশ্ববাশীর কাছে গুরুত্বের সাথে স্বরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের নাম।
বাঙ্গালী জাতিস্বত্তার জীবনে ২১শে ফেব্রুয়ারি একটি চেতনা। সেই চেতনার আর্দশে বিশ্ববাশী তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি আরোর শ্রদ্ধাশীল হয়ে ওঠে। একুশ আমাদের অহংকার পৃথিবীর অলংকার।
তাই সকলের উচিত একুশের চেতনাকে চিরকাল বুকে ধারণ করে দেশ ও সকল জাতির সার্বিক কল্যানে নিয়োজিত থাকা এবং পরবর্তি প্রজন্মকে তাদের গৌরবময় ইতিহাসের স্পর্শে আনা।
আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা টি ভালো লেগে থাকলে এবং আপনার উপকারে আসলে কমেন্ট এ ধন্যবাদ লিখতে এবং রচনা টি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।