BANGLADESH
Welcome to Detailsbd.com

দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা

Category - 
5/5 - (1 vote)

দুধ একটি পুষ্টিকর খাবার এই সম্পর্কে মোটামুটি আমরা সবাই জানি। আদর্শ খাবার দুধ হিসেবে আমরা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে দুধ পান করতে পারি। কিছু কিছু মানুষ দুধ অনেক পছন্দ করলেও অনেকেরেই কাছে দুধ একটি অপছন্দের খাবার।

 দুধের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। অনেকেরই একটা কমন প্রশ্ন থাকে যে দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি?

দুধের বিভিন্ন উপকারী দিক থাকলেও এর কিছু অপকারী দিক রয়েছে। যা আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা সবাই জানি যে প্রোটিনের একটি ভালো উৎস দুধ থেকে পাওয়া যায়। এছাড়াও দুধে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ক্রোমিয়াম, মেগানিজ, জিংক, আয়োডিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যামিনো এসিড।

সেই হিসাব করলে দুধের সরে রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা। চলুন প্রথমে দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নিই:

  • দুধের সর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • এটি মস্তিষ্ককে শিথিল রাখতে সাহায্য করে।
  • ফিটনেস ধরে রাখে অর্থাৎ শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে।
  • প্রতিদিন দুধের সর খেলে রাতে ঘুম ভালো হবে।
  • ডিমের কুসুমের সাথে দুধের সর মিক্স করে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • দুধে সর দিয়ে বিভিন্ন রকমের ফেসপ্যাক বানানো যায়।

দুধের সর খাওয়ার অপকারিতা

  • কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দুধের সর খাওয়া ঠিক নয়।
  • যারা পাকস্থলীর আলসার এর রোগে ভুগছেন তারা দুধের সর না খাওয়াই ভালো।
  • গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীদের ক্ষেত্রে দুধের সর একদমই খাওয়া উচিত নয়।
  • যাদের দুধে এলার্জি রয়েছে তারা দুধের সর এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন  রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা | রসুন এর গুনাগুন

দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা

দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার প্রত্যেকটি মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এটি আমরা সবাই জানি। তবে আপনার শরীরের জন্য দুগ্ধজাত খাবার কতটুকু উপকারী এবং অপকারী এটি সম্পর্কে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে। দুধ এবং দুগ্ধজাত খাদ্যে প্রোটিন সহ আরো বিভিন্ন রকমের ভিটামিন রয়েছে। 

দুগ্ধজাত খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। এগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায় এটি ঠিক কথা। কিন্তু নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে দুগ্ধ জাত খাবার খেলে  গ্যাস্ট্রিকের আলসার এবং হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

তাছাড়া দুগ্ধজাত খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো সেটুরেটেড ফ্যাট। কিন্তু নিয়মিত সেবন করলে আপনার শরীরে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। শরীরের ওজন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন রকমের সমস্যায় পড়তে পারেন। দুগ্ধ জাত খাবার তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ব্যবহার করতে হয়।

প্রচুর পরিমাণে চিনি আমাদের শরীরের জন্য কত রকমের ক্ষতি করতে পারে এই সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। তাই দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার একেবারে এড়িয়ে না চলে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

দুধের উপকারিতা কী?

সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সবাই দুধ পান করতে পারে। দুধ মেধাবিকাশে এবং শরীরের দৈহিক গঠনে সাহায্য করে। চলুন জেনে নিই দুধের উপকারিতা কি?

  • দুধে বিদ্যমান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা হাড় আর মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়া দাঁত ও হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা যেমন দাঁত ক্ষয় হওয়া এবং হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা করে।
  • প্রতিদিন দুধ পান করলে আপনার অন্যান্য খাবারের প্রতি রুচি অনেকটা কমে আসে। খুদা কম থাকায় আপনার ওজন হ্রাস পেতে থাকে। অনেকেই আছেন যারা ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন। তারা তাদের খাবার তালিকায় প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ রাখতে পারেন। এটি একটি পুষ্টিকর ডায়েটের আওতায় পড়ে।
  • দুধে রয়েছে ভিটামিন এবং মিনারেল। আমরা সবাই জানি ভিটামিন এবং মিনারেল মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস দুধ পান করলে দিনের বেলায় মানসিক চাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • যাদের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা রয়েছে তারা দুধ পান করতে পারেন। এতে করে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা অনেকটাই কেটে যায়।
  • যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা দুধ পান করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন আপনার এলার্জি এর পরিমাণ কতটুকু।
  • দুধে বিদ্যমান প্রোটিন মাংসপেশী গঠন করতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার মাংসপেশিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। দুধ খেলে সেই সব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন  সেক্সে রসুনের উপকারিতা কি ? জেনে নিন রসুন খাওয়ার নিয়ম

প্রতিদিন গরম দুধ খেলে কি হয়?

দুধ খেলে শরীর সুস্থ থাকে এটা কমবেশি সবাই জানে। রাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে দুধ খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে গরম দুধ খাওয়া শরীরের জন্য মোটেও ঠিক নয়। তবে আপনি চাইলে রাতে ছাড়া দিনের বেলায় প্রতিদিন এক গ্লাস করে গরম দুধ অথবা ঠান্ডা দুধ পান করতে পারেন। এটা শরীরের জন্য খুবই ভালো। 

কিন্তু রাতে দুধ পান করলে দুধে থাকা ফ্যাট শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কিন্তু দিনের বেলায় দুধপান করলে আপনার প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই ক্যালোরি আপনি সহজে ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। আমরা আগেও আলোচনা করেছি প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করলে হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

আবার বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে গরম দুধ খেলে রাতে ঘুম ভালো হয়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। প্রতিদিন গরম দুধ খেলে শরীরের উপর কোন  ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করলে স্মৃতিশক্তি এবং মেধা বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। 

আরও পড়ুন  সেক্সে রসুনের উপকারিতা কি ? জেনে নিন রসুন খাওয়ার নিয়ম

যারা বহুদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা এক গ্লাস করে দুধপান করে দেখতে পারেন। এটা হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে দূর করে।

দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময়

দুধ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু দুধ খাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দরকার। উপযুক্ত সময় ছাড়া যে কোনো সময়ে আপনি দুধ পান করলে শারীরিক বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়তে পারেন। 

প্রাপ্ত বয়স্করা রাতে ঘুমানোর আগে দুধ পান করতে পারেন। এতে করে রাতে ঘুম ভালো হবে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ খাওয়া মোটে উচিত না। এতে তারা গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে পারে। সাধারণত সকালবেলা শিশুদের এক কাপ করে দুধ খাওয়ানো যেতে পারে। 

এতে করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি হওয়ার কোন আশঙ্কা থাকে না। যাদের দুধে এলার্জি রয়েছে তারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। কিন্তু তারা নিয়মিত দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারবেন না।

Also Read: খতিয়ান পর্চা অনুসন্ধান

শেষ কথা

আমরা সবাই জানি যে দুধের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা রয়েছে। তবে দুধ খাওয়ার জন্য আপনার শরীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে সচেতন হোন।

আপনার যদি শারীরিক কোন সমস্যা না থেকে থাকে তাহলে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা আপনার জন্য একটি উত্তম খাবার হিসেবে বিবেচিত হবে। কিন্তু শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর নিয়মিত দুধ পান করুন। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যারা দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলেন আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আশা করি।

Also Read: পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক

 Share this post from here. 

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।

linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram