"ওয়েব হোস্টিং (Hosting) হচ্ছে একটি মেমরি বা স্টোরেজ যেখানে আপনার ওয়েবসাইট এর যাবতীয় তথ্য ও ফাইল সংরক্ষিত থাকে এবং তা ভিজিটর দের কাছে প্রদর্শিত করে। হোস্টিং ওয়েবসাইটকে ভিজিটর দের জন্য সচল রাখে।"
একটি ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধরুন আপনার ওয়েবসাইটের যাবতীয় ফাইল আপনি আপনার পিসি তে রেখেছেন এবং সেখান থেকেই তা আপনার ভিজিটররা তা দেখতে পাচ্ছে। তাহলে আপনি যখন পিসি অফ করে দেবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটও অফ হয়ে যাবে এবং ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারবে না। হোস্টিং কেনার মানে হচ্ছে আপনি অনলাইনে কোনো হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছ থেকে (বাৎসরিক অথবা মাসিক) চার্জের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমান মেমরী বা জায়গা কিনে নেয়া, যারা দিন রাত ২৪ ঘন্টা তাদের কম্পিউটার অন রাখবে এবং আপনার ভিজিটরদের প্রয়োজনীয় ফাইল শো করাবে।
যেকোনো ডোমেইন/ হোস্টিং খুব সহজে বিকাশের মাধ্যমে কিনতে ভিজিট করুন Exonhost
মাত্র ১২0 টাকায় (.xyz) ডোমেইন (বাৎসরিক)
মাত্র ৭৫০ টাকায় (.com) ডোমেইন (বাৎসরিক)
মাত্র ২৪৫ টাকায় ৫ জিবি SSD হোস্টিং (মাসিক)
ব্যান্ডউইথ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে কত পরিমান ভিজিটর আসতে পারবে সেটার একটা লিমিট। বেশী ব্যান্ডউইথ মানে অধিক ভিজিটর আসতে পারবে।
ট্রাফিক হচ্ছে আপনার ভিজিটর। ভিজিটরকেই অন্যভাবে ট্রাফিক বলা হয়।
ইমেইল হচ্ছে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নামে কতগুলো কাস্টমাইজড ইমেইল এড্রেস বানাতে পারবেন সেটা। যেমন আপনার ওয়েবসাইট যদি হয়ে থাকে Detailsbd.com তাহলে আপনার মেইল এড্রেস বানাতে পারেন [email protected], এতে করে আপনি আপনার ভিজিটর দের জন্য একটি কাস্টমাইজড ইমেল এড্রেস প্রভাইড করতে পারবেন।
সাবডোমেইন হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের নামে আপনি কতগুলো আলাদা ছোট ছোট ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন সেটা। যেমন আপনার ওয়েবসাইট হচ্ছে Detailsbd.com, এখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে একটি শপ খুলতে চান এবং তার জন্য একটি আলাদা এড্রেস চান। তখন আপনি খুলতে পারেন shop.detailsbd.com, এটাই সাবডোমেইন এর কাজ।
ডেটাবেস হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের কোন ডেটা কিভাবে কোথায় থাকবে সেটা। আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভলপার হয়ে থাকেন তবে আপনি নিজেই আপনার ওয়েবসাইটের ডেটাবেজ ম্যানেজ করতে পারবেন। আর যদি না পারেন তখন এক্সপার্ট দের দিয়ে করিয়ে নিতে হবে।
হোস্টিং নির্বাচন করা কিছুটা কঠিন বিষয় কারন এটি অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। প্রথমত কত মেগা বা কত গিগার হোস্টিং নিবেন তা ঠিক করতে হবে আপনাকেই। তারপর তারা কি ধরনের মেমরী সাপ্লাই দেবে যেমন ssd নাকি নরমাল হার্ডডিস্ক টাইপ। ssd মেমরী সবথেকে ভালো ওয়েবসাইটের জন্য কারন ssd মেমরীতে অনেক বেশি স্পিড পাওয়া যায়, ফলে ভিজিটরদের ওয়েবসাইট লোড হতে সময় কম লাগবে।
ভালো হোস্টিং কিনতে চাইলে Bluehost বা hostgator থেকে কিনতে পারেন পেপাল বা মাস্টারকার্ড এর মাধ্যমে।
বিকাশ দিয়ে কিনতে চাইলে ভিজিট করতে পারেন Exonhost থেকে.
হোস্টিং কেনার এর সময় আপনাকে কতগুলো ইমেইল স্টোরেজ দিচ্ছে তা দেখে নেবেন, অনেক সময় দেখা যায় আপনার ওয়েব সাইটটি হবে অনেক ছোট, কিন্তু হয়ত আপনার মেইল দরকার হবে অনেক। এক্ষেত্রে আপনার কেনা হোষ্টিং এর মেইল সংখ্যা যাই হোক না কেন, সব মেইল কিন্তু আপনার কেনা হোষ্টিংএর মধ্যেই থাকবে। ধরুন আপনি কিনলেন ৫০০ মেগাবাইটের হোষ্টিং, এবং সাথে পেলেন আনলিমিটেড ইমেইল। এই আনলিমিটেড দেখে খুশি হবার কিছুই নেই। কারণ আপনার সব মেইল জমা হবে এই ৫০০ মেগাবাইটের মধ্যেই।
বাংলাদেশে এমন অসংখ্য হোস্টিং প্রভাইডার আছে যারা খুব ভালো মানের হোস্টিং প্রভাইড করে কিন্তু খুবই কম মূল্যে। এমন একটি হোস্টিং প্রভাইডার হচ্ছে Exonhost , তারা প্রায় ১২ বছর ধরে এ ব্যবসায় আছে এবং তাদের সার্ভিস ও হোস্টিং এর স্পিড যথেস্ট ভালো সাথে দামও খুব কম। আমার নিজেরই তিনটি ওয়েবসাইট আছে Exonhost এ, তাই তাদের সার্ভিস নিয়ে আপনি আপনাদের গ্যারান্টি দিতে পারি।
সাধারণত হোস্টিং (hosting) দুই ধরনের হয়।
১. ফ্রি হোস্টিং
২. পেইড হোস্টিং
ফ্রি হোস্টিং মুলত বিনামূল্যে হয়। অর্থাৎ ফ্রি হোস্টিং কিনতে আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। আর পেইড হোস্টিং আপনাকে কিনে ব্যবহার করতে হবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ফ্রি হোস্টিং থাকতে আপনি টাকা দিয়ে কেন পেইড হোস্টিং কিনবেন? এর উত্তর হল, ফ্রি হোস্টিং এ আপনি স্টোরেজ ও ব্যান্ডউইথ অনেক কম পাবেন। ফলে আপনার ওয়েবসাইট লোড হতে অনেক সময় লেগে যাবে। তাছাড়া ফ্রি হোস্টিং এ সিকিউরিটি থাকে না কোনো। আপনার ওয়েবসাইটের যাবতীয় তথ্য যেকোনো সময় চুরি হয়ে যেতে পারে। এসব কারনে সবাই পেইড হোস্টিং কিনে নেয়।
পেইড হোস্টিং আবার বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে যেমন,
শেয়ারড হোস্টিং সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং প্রচলিত। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় শেয়ার্ড হোস্টিং, কারন শেয়ার্ড হোস্টিং এর দাম খুব কম হয় এবং ছোট খাটো ব্লগ সাইট গুলোর জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং সবচেয়ে কম দামে ভালো সার্ভিস দেয়। সাধারনত হোস্টিং প্রোভাইডাররা আমাদের যে হোস্টিং অফার করে থাকে তার প্রায় সবই শেয়ারড হোস্টিং।
শেয়ারড হোস্টিং সার্ভারের নিরাপত্তা কিছুটা কম থাকে কারন এখানে একসাথে অনেক ক্লাইন্ট এর সাইট একসাথে থাকে। মানে একটি সার্ভারকে অনেক গুলো সাইট একজন আরেকজনের সাথে শেয়ার করে নেয়, এজন্যই একে শেয়ার্ড হোস্টিং বলে। শেয়ারড হোস্টিং এ আপনি আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ পাবেন না বা আনলিমিটেড ট্রাফিক ও পাবেন না। কারন সব কিছুই প্রত্যেক সাইটের মাঝে শেয়ার হয়ে যায়। তাই কোনো সাইটে যদি হঠাত খুব বেশী ট্রাফিক আসা শুরু করে তখন অন্য সাইট গুলো স্লো হয়ে যায়। এই সমস্ত প্রব্লেম এর কারনে শেয়ার্ড হোস্টিং বড় বড় ওয়েবসাইট গুলোতে ব্যবহার করা হয়না, তবে আপনি যদি একজন বিগিনার হন তবে আপনার জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং সবচেয়ে বেস্ট হবে।
শেয়ার্ড হোস্টিং মাসিক হিসেবে সর্বনিম্ন মাত্র ৫০ থেকে ২০০ এবং বাৎসরিক হিসেবে সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ২০০০ টাকায় পাওয়া যায়।
কিন্তু সুবিধার পাশাপাশি আছে অসুবিধাও। শেয়ার্ড হোস্টিং এর কিছু লিমিটেশন থাকে। তাছাড়া, একই সার্ভার ভাগাভাগি করে ব্যবহারের করার কারণে ওয়েবসাইট গুলো একটু ধীরগতি সম্পন্ন হয়। তাছাড়া কোনো ওয়েবসাইটে যখন অধিক সংখ্যক ভিজিটর আসে, তখন ঐ ওয়েবসাইটের সার্ভারে থাকা অন্য ওয়েবসাইট গুলোর উপরও কিছুটা চাপ পড়তে শুরু করে। তাই সার্ভারের একটি ওয়েবসাইটের জন্য অন্য ওয়েবসাইট গুলো ধীরগতির হয়ে যেতে পারে।
শেয়ার্ড হোস্টিং মূলত তাদের জন্য সঠিক, যাদের ব্লগ জাতীয় ওয়েবসাইট, অথবা নতুন বা ভিজিটর কম। যেসব ওয়েবসাইটে দৈনিক ১০০০০-২০০০০ এর বেশি ট্রাফিক আসে, সেই ওয়েবসাইট গুলোকে শেয়ার্ড হোস্টিং এ না রেখে ভিপিএস বা, (Virtual Private Server) এ নিয়ে যাওয়া উত্তম।
ডেডিকেটেড হোস্টিং হচ্ছে শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইটের জন্য নির্দিষ্ট একটি সার্ভার থাকবে এবং খুব হাই কনফিগারেশন এর কম্পিউটার ও স্টোরেজ থাকবে। ডেডিকেটেড হোস্টিং অনেক ব্যায়বহুল। আপনার ওয়েবসাইট যদি খুব বড় হয় এবং খুব শক্ত নিরাপত্তা দরকার হয়, তখনই এই হোস্টিং আপনার জন্য বেস্ট হবে।
ডেডিকেটেড আবার হোস্টিং রকমের হয়।
১. ম্যানেজড হোস্টিং (Managed Hosting)
২. আনম্যানেজড হোস্টিং (Unmanaged Hosting)
ডেডিকেটেড হোস্টিং এর মতো স্বাধীনতা আপনি আর কোনো হোস্টিং সার্ভারে পাবেন না, কারন এখানে পুরো সার্ভারের সবকিছুই আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডেডিকেটেড হোস্টিং সার্ভারের ওয়েবসাইট গুলো হয় সুপার ফাস্ট হয় এবং জলদি গুগলে র্যাংক করে, আর নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি।
ডেডিকেটেড হোস্টিং সার্ভারের দাম ভিপিএস হোস্টিং সার্ভারের থেকে অনেকটাই বেশি। এর দাম মূলত সার্ভারের কম্পিউটার কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে।
শেয়ারড হোস্টিং আর ডেডিকেটেড হোস্টিং এর মাঝাখানে হল ভিপিএস হোস্টিং সার্ভার। ডেডিকেটেড হোস্টিং সার্ভারে আপনাকে সব হার্ডওয়্যার রিসোর্স দিয়ে দিবে এবং আপনার সাইট একটি নির্দিষ্ট সার্ভারে থাকবে। আবার শেয়ারড হোস্টিং এ আপনার সাইটের সাথে আরো হাজারটা সাইট থাকবে।
ভিপিএস হোস্টিং মূলত একটি ডেডিকেটেড সার্ভারকে কয়েকজনের মাঝে ভাগ করে দেয়। যেমন ধরুন, ৩২ জিবি র্যামের একটা সার্ভারের আপনাকে দিল ৫ জিবি এবং বাকিগুলি আরো ৬ জনকে দিল। এভাবে সব রিসোর্স ভাগ করে দেয়া হয়। ডেডিকেটেড সার্ভারের মত এখানেও আপনি মোটামুটি যেকোন সফটওয়্যার ইনস্টল দিতে পারবেন। সাধারনত যখন আপনার ওয়েবসাইটে কিছুটা ভালো মানের ভিজিটর আসবে তখন আপনার ইনকাম ও প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি একটি ভিপিএস হোস্টিং নিতে পারেন। এতে করে আপনি ডেডিকেটেট হোস্টিং এর মত সার্ভিস পাবেন এবং খরচও অনেকটা কম আসবে।
ভিপিএস হোস্টিং শেয়ার্ড হোস্টিং এর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন। সার্ভার খুব ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটারে হওয়ার জন্য ওয়েবসাইটের গতি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আবার নিরাপত্তার দিক থেকেও ভিপিএস হোস্টিং শেয়ার্ড হোস্টিং এর তুলনায় অনেকটা এগিয়ে।
ভিপিএস হোস্টিং সার্ভারের মাত্র একটাই অসুবিধা আর সেটা হলো এর মূল্য৷ এর সর্বনিম্ন দাম প্রতি মাসে ৬০০ থেকে শুরু হয়ে থাকে, যা অনেকটা ব্যয়বহুল। কিন্তু ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম শুরু হলে এটা আপনার জন্য তেমন কিছুই না৷
প্রফেশনাল ব্লগার ও ওয়েবসাইট বিল্ডার দের কাছে ক্লাউড হোস্টিং এখন সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় এবং প্রথম পছন্দ। ক্লাউড হোস্টিং অন্য সকল হোস্টিং তুলনায় সম্পুর্ন ভিন্ন। অন্যান্য হোস্টিং গুলোর মত ক্লাউড হোস্টিং এর সার্ভার কোনো নির্দিষ্ট কম্পিউটারে থাকে না। ক্লাউড হোস্টিং এ কোনো একটি ওয়েবসাইটের সমস্ত ডেটা শুধু একটি কম্পিউটার সার্ভারে না রেখে অনেক গুলো কম্পিউটার সার্ভারে রাখা হয় এবং এই সার্ভার গুলো পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত হয়।
এর ফলে কোনো একটি সার্ভার যদি ডাউন হয়ে যায়, ব্রাউজার তখন অন্য কোনো সার্ভার আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা ট্রান্সফার করে ফেলবে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইট কখনো ডাউন হবার চান্সই থাকেনা। তাছাড়া ভিজিটর যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করে তখন তার সবচেয়ে কাছাকাছি যে সার্ভারে আপনার ওয়েবসাইটের ডেটা আছে সেখান থেকেই তাকে তা দেখানো হয়। ফলে আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড বেড়ে যায় কয়েক গুন। ফলে আপনার ওয়েবসাইট খুব সহজেই গুগলে র্যাংক করতে পারে।
তবে ক্লাউড হোস্টিং এর দাম অনেক অনেক বেশী যা শুধুমাত্র এক্সপার্ট ব্লগার ও বড় বড় মার্কেটার রাই ব্যবহার করতে পারে।
রিসেলার শব্দ দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে এখানে হোস্টিং সার্ভারটি পুনরায় বিক্রি বা রিসেল করা হয়। এটি মূলত ব্যবসায়ী দের জন্য বানানো হয়েছে।
বিভিন্ন ব্যক্তি বা ছোট প্রতিষ্ঠান যারা তাদের ক্লায়েন্ট দের ওয়েবসাইট বানিয়ে দেন তারা রিসেলার হোস্টিং কিনে তাদের ক্লায়েন্ট এর কাছে এই হোস্টিং গুলো সেল করে থাকেন। মূলত কোনো হোস্টিং সেবাদানকারী কোম্পানি থেকে ডেডিকেটেড হোস্টিং কিনে তার ১ জিবি বা ২ জিবি অংশ নিজেদের ক্লায়েন্টদের কাছে তারা ভাড়া দিয়ে থাকেন। এটা অনেকটাই খুচরা বিক্রির মতো।
ওয়ার্ডপ্রেস (wordpress.org) হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট তৈরীর কারখানা৷ বর্তমানে পুরো ইন্টারনেটের প্রায় ৪০ শতাংশ ওয়েবসাইটই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি। ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যাপক চাহিদা দেখে হোস্টিং কোম্পানি গুলো শুধু ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য এক প্রকার বিশেষ হোস্টিং সার্ভার তৈরী করেছে। এর নাম ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজড হোস্টিং সার্ভার। এই হোস্টিং সার্ভারের যাবতীর কাজ হোস্টিং কোম্পানি গুলো ম্যানেজ করে বলে এটাকে ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজড হোস্টিং সার্ভার বলা হয়।
মনে রাখবেন, ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজড হোস্টিং সার্ভারে ওয়ার্ডপ্রেস ছাড়া আর কোনো প্লাটফর্ম ইন্সটল করা যায় না। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং সার্ভার ব্যবহার করে সুপার ফার্স্ট ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ তৈরী করতে পারবেন আপনি।
সত্য কথা হলো যে , প্রথম হোস্টিং কেনার আগে প্রায় সবাই কিছুটা দুঃশ্চিতার মধ্যে থাকে। কোত্থেকে নিবেন, সার্ভিস কেমন হবে, স্পিড ভালো হবে কিনা এসব নানা প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরতে থাকবে। তাই হোস্টিং কেনার আগে অবশ্যই কোনো অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নেবেন যাতে আপনার অর্থ নষ্ট না হয়।
আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না এবং কোনো পরামর্শ থাকলে অবশই কমেন্ট করুন।
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।