মেট্রোরেল বর্তমানে আমাদের দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় গণপরিবহন মাধ্যম। এর মাধ্যমে শহরের ব্যস্ত সড়কগুলোতে যানজট এড়িয়ে যাত্রীদের দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। মেট্রোরেল সম্পর্কে জানার আগ্রহ সকলের মাঝেই রয়েছে। তাই মেট্রোরেল সম্পর্কে কিছু সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও তাদের উত্তর নিয়ে আজকের এই পোস্ট।
আরও পড়ুন
উত্তর: ঢাকা মেট্রোরেল হলো রাজধানী ঢাকার একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা যা শহরের বিভিন্ন অংশকে সংযুক্ত করে।
উত্তর: যানজট কমিয়ে দ্রুত, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা করা।
উত্তর: ৫০ টাকা।
উত্তর: প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা।
উত্তর: মরিয়ম আফিজা।
উত্তর: এমআরটি লাইন-৬।
উত্তর: উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত।
উত্তর: মোট ৬টি লাইন পরিকল্পিত হয়েছে।
উত্তর: ২০১৬ সালে।
উত্তর: প্রায় ২০.১ কিলোমিটার।
উত্তর: জাপান।
উত্তর: যাত্রার দূরত্ব অনুযায়ী।
উত্তর: প্রতিটি ট্রেন প্রায় ২৩০৮ জন যাত্রী ধারণ করতে পারে।
উত্তর: প্রতিটি ট্রেনে ৬টি কোচ থাকে।
উত্তর: ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
উত্তর: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২।
উত্তর: ৪ নভেম্বর ২০২৩।
উত্তর: ১২ ডিসেম্বর ২০২১।
উত্তর: ২৯ নভেম্বর ২০২১।
উত্তর: প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
উত্তর: আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত।
উত্তর: উত্তরা উত্তর স্টেশন।
উত্তর: স্মার্ট কার্ড ও একক যাত্রা টিকিট।
উত্তর: ৪-১০ মিনিট পরপর।
উত্তর: ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
উত্তর: প্রায় ১০,০০০ কর্মী।
উত্তর: বিদ্যুৎচালিত।
উত্তর: সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তা কর্মী, আধুনিক মনিটরিং ব্যবস্থা।
উত্তর: এটি পরিবেশবান্ধব, কারণ এটি যানজট কমিয়ে বায়ু দূষণ কমায়।
উত্তর: লিফট, এস্কেলেটর, বসার জায়গা, টয়লেট ইত্যাদি।
উত্তর: ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা।
উত্তর: প্রায় ২২,০০০ কোটি টাকা।
উত্তর: ৩৩ হাজার ৪৭১ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা।
উত্তর: জাইকা (৭৫%) ও বাংলাদেশ সরকার।
উত্তর: ১৯ হাজার ৭১৮ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা।
উত্তর: ৫ টাকা।
উত্তর: সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা।
উত্তর: নতুন লাইন স্থাপন এবং বর্তমান লাইনের সম্প্রসারণ।
উত্তর: প্রায় ৫০ বছর ধরে চলবে বলে পরিকল্পিত।
উত্তর: উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ৩৮ মিনিট।
উত্তর: জাপানে নির্মিত।
উত্তর: উচ্চগতির স্টিল ট্র্যাক।
উত্তর: স্বয়ংক্রিয় ট্রেন নিয়ন্ত্রণ, আধুনিক টিকিটিং সিস্টেম।
উত্তর: উত্তরা উত্তর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, মতিঝিল।
উত্তর: যানজট মুক্ত যাতায়াত, সাশ্রয়ী, দ্রুতগামী।
উত্তর: টিকিট কাউন্টার বা স্বয়ংক্রিয় মেশিন থেকে।
উত্তর: প্রতি ঘন্টায় ৬০,০০০ যাত্রী।
উত্তর: ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
উত্তর: লিফট, এস্কেলেটর, টয়লেট, ওয়াই-ফাই।
উত্তর: জাপান।
উত্তর: স্বয়ংক্রিয় ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
উত্তর: উত্তরা, আগারগাঁও, ফার্মগেট, মতিঝিল।
উত্তর: সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তা কর্মী।
উত্তর: আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত।
উত্তর: ৩ তলা।
উত্তর: ১৮০ মিটার।
উত্তর: অত্যাধুনিক ও আরামদায়ক।
উত্তর: প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত।
উত্তর: লিফট, এস্কেলেটর, বসার জায়গা, টয়লেট।
উত্তর: গড়ে ১.৫ কিলোমিটার।
উত্তর: সবুজ ও লাল।
উত্তর: আধুনিক এবং আরামদায়ক।
উত্তর: মোট ২৪টি ট্রেন।
উত্তর: লন্ডন (১৮৬৩ সালে)।
এই প্রশ্নোত্তরগুলো মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে। আপনি চাইলে আরও বিস্তারিত তথ্য ও আপডেট জানতে মেট্রোরেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে নজর রাখতে পারেন।
মেট্রোরেল শুধু দ্রুতগামী ও নিরাপদ যাতায়াতের মাধ্যম নয়, এটি পরিবেশবান্ধবও বটে। মেট্রোরেলের ব্যবহার জ্বালানি সাশ্রয় করে এবং বায়ু দূষণ কমায়। তাছাড়া, এটি শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
মেট্রোরেল প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। এছাড়া, পরিবহন খরচ কমিয়ে আনা এবং সময় সাশ্রয়ের মাধ্যমে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণকাজের সময় যানজট, এবং প্রয়োজনীয় বাজেট সংকুলান। তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য পরিকল্পিত ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
মেট্রোরেলের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, আধুনিক টিকিটিং সিস্টেম এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা। এসব প্রযুক্তি যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও সুবিধাজনক যাত্রা নিশ্চিত করে।
মেট্রোরেল আমাদের দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি শহুরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। দ্রুতগামী, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব এই যানবাহনটি শহরের নাগরিকদের জন্য একটি বড় সুবিধা। মেট্রোরেলের ব্যাপারে সাধারণ জ্ঞান ও সচেতনতা বাড়ানো আমাদের সবার দায়িত্ব, যাতে আমরা সবাই এর সুবিধা নিতে পারি এবং এর যথাযথ ব্যবহারে সচেষ্ট হতে পারি।
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।