শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা টি ১০০, ২০০ ও ৩০০ শব্দ দিয়ে তৈরি। অনুচ্ছেদ টি class 3, 4, 5, 7, 8, 9, 10, SSC, HSC সবার কাজে আসবে এবং ফুল মার্কস এনে দেবে।
Table of Contents
এখানে পাবেন একই সাথে তিনটি রচনা
শীতকাল অনুচ্ছেদ টি ১০০ শব্দ দিয়ে বানানো যা সকল শ্রেণীর জন্য ফুল মার্কস পাবার উপযোগী করে লেখা হয়েছে।
সবাই বলে যে শীতকাল যেন ছেলেবেলা কে ফিরিয়ে আনে, শীতকাল প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য। কুয়াশার চাদরে ঢাকা সকাল দেখলে মনে হবে যেন এক স্বর্গরাজ্য। শীতের আমেজ যেন সকলের মনে এক অন্যরকম আনন্দ বয়ে আনে। শীতকালেই দেখা যায় হরেক রকমের পিঠা, যেমন ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, জামাই পিঠা, নকশি পিঠা ইত্যাদি। এছাড়াও শীতকালের শাক সবজি, ফুল, ফল সবার মনে এক খুশির আমেজ তৈরি করে। শীতকালে মানুষের মনে এক ধরনের উৎসবের আমেজ থাকে। শীতকালে মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে যায়, বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা করে। শীতের সকালে চারিদিক কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আর যখন কুয়াশার জাল ভেদ করে সূর্য রশ্মি ওঠে তখন যেন মনে হয় স্বর্গপুরী। শীতকাল সত্যিই প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্যে ভরা ঋতু।
শীতকালের অপরুপ সৌন্দর্য অনুচ্ছেদ টি ২০০ শব্দ দিয়ে বানানো যা সকল শ্রেণীর জন্য ফুল মার্কস পাবার উপযোগী করে লেখা হয়েছে।
শীতকাল প্রকৃতির এক অপরূপ রূপ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা গ্রামবাংলার সৌন্দর্য যেন এক স্বপ্নরাজ্য। শীতকালের সকালের সৌন্দর্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখা যায় চারপাশ সাদা কুয়াশায় ঢাকা। গাছপালা, ঘরবাড়ি, সবকিছুই যেন সাদা চাদরে মোড়ানো। সূর্যের আলোয় কুয়াশার ফোঁটাগুলো যেন মুক্তোর মতো ঝিকমিক করছে।
শীতকালে পাখিরা গান গাইতে থাকে। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে তোলে। শীতকালে পিঠা-পুলির উৎসব হয়। বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি খাওয়া হয়। যেমন, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, জামাই পিঠা, নকশি পিঠা ইত্যাদি। গরম গরম পিঠা-পুলি খেয়ে সবাই আনন্দ উপভোগ করে।
শীতকালে প্রকৃতি যেন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ে যায়। আর নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। শীতকালে ফুলের সমারোহ দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে। যেমন, গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, সূর্যমুখী ইত্যাদি। শীতকালে পাখিদের কলকাকলি মুখরিত করে তোলে প্রকৃতিকে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা গান গেয়ে শীতকালকে আরও মনোরম করে তোলে।
শীতকালে মানুষের মনে এক ধরনের উৎসবের আমেজ থাকে। শীতকালে মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে যায়, বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা করে। প্রকৃতির চারপাশ এক অন্যরকম নিস্তব্ধতায় ভরে ওঠে এই শীতকালে। এই নিস্তব্ধতায় প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন আরও বেশি ফুটে ওঠে।
শীতকাল প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্যে ভরা ঋতু। লোকে বলে যে "শীতকাল যেন ছেলেবেলা কে ফিরিয়ে নিয়ে আসে"। এই ঋতুতে প্রকৃতি তার অপরূপ সৌন্দর্য প্রদর্শন করে। শীতকালের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে তোলে।
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ টি ৩০০ শব্দ দিয়ে বানানো যা সকল শ্রেণীর জন্য ফুল মার্কস পাবার উপযোগী করে লেখা হয়েছে।
ষড়ঋতুর রঙ্গিন দেশ বাংলাদেশ। শীতকাল হলো ছয়টি ঋতুর মধ্যে পঞ্চম। বাংলাদেশে প্রায় অক্টোবর মাসে শীতকাল শুরু হয়। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। শীত শুধু মানুষের মনে রিক্ততা বয়ে আনেনা, তার সাথে আনন্দ নিয়ে আসে। শীতকালে পিঠা পুলি উৎসব হয়। এছাড়া গ্রামে নানা ধরনের মেলা হয়।
শীতের দীর্ঘ রাতে কুয়াশার আবরণ গায়ে মেখে সুবহে সাদিকে ভেসে আসে আযানের ধ্বনি। সকালে যখন ঘন কুয়াশায় সবকিছু ঢেকে যায় তখন প্রকৃতিকে অপূর্ব সুন্দর মনে হয়। কুয়াশার চাদর ভেদ করে ফুটে ওঠে সূর্যের কিরণ, প্রভাতের বার্তা বহন করে নিয়ে আসে। গাছে গাছে তখন পাখিদের মুখরিত কলোকাকলিতে ঘুম ভাঙে মানুষের। পাখির কিচিরমিচির শব্দ বুঝিয়ে দেয় সকালের বার্তা। বাংলার শীতের সকাল সত্যিই অনেক বৈচিত্র্যময়। গাছিরা খেঁজুর রস কাঁধে সারিবদ্ধভাবে হেঁটে চলে পল্লীর গাঁয়ে। পূবাকাশে কুয়াশা ঢাকা ম্লান রোদে উঠোনে পাটি বিছিয়ে ছেলেমেয়েরা কাঁচা রসে চুমুক দিয়ে শীতের আনন্দে ভাগ বসায়। উত্তরের হিমেল হাওয়া বয়, গাছপালা পাতাহীন হয়ে পড়ে। নদ-নদীতে স্রোতের তীব্রতা হ্রাস পায়। কুয়াশার অবগুণ্ঠন ছিড়ে নিস্তব্ধতার বুক চিরে কোনো পথিক হেঁটে গেলে মনে হয় শীতের কনকনে ঠান্ডায় তার শরীর কাঁপছে। টিনের চালে, গাছের ডালে, ঘাসের ডগায়, শিশির বিন্দু জমে থাকার মনোরম দৃশ্য শীতের সকাল ছাড়া আর দেখা যায় না। ঘন সাদা চাদর মুড়ে থাকা প্রকৃতির বুকে মুক্তার মতো ফুটে থাকা শিশির বিন্দুগুলো চিকচিক করে।
মাঠভরা হলুদ সরিষার ফুল মন কেড়ে নেয় প্রতিটি বাঙ্গালীর। মটরশুঁটি আর সবুজ ঘাসের ডগায় ঝুলে থাকে শিশির বিন্দু। কুয়াশার ঘন জাল সরিয়ে মিষ্টি রোদের সূর্য নতুন মাত্রা যোগ করে শীতের সকালে।
শীতের সকালে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। গাঁয়ে নানা রকমের পিঠা তৈরি করা হয়। এসব পিঠার মধ্যে রয়েছে, দুধ পুলি, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা,ভাপাপুলি, চিতই পিঠা আরো কত কি। শীতের সকালে খেজুরের রসে তৈরি পয়েস বাঙ্গালীকে রসময় করে তোলে । তাছাড়া শীতে চাষ হয় নানা ধরনের সবজি। পুকুরে,খালে,বিলে এই সময় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। শীতের সকালটাকে আরো সুন্দর করে তোলো বাগানে ফুটে থাকা ফুল।
শীতের সকালে চারিদিক কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আর যখন কুয়াশার জাল ভেদ করে সূর্য রশ্মি ওঠে তখন যেন মনে হয় স্বর্গপুরী। শীতের সকালে শিশির ভেজা সোনালী রোদের স্পর্শ কার না ভালো লাগে? সুশীতকাল সত্যিই প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্যে ভরা ঋতু।
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা টি ভালো লেগে থাকলে এবং আপনার উপকারে আসলে কমেন্ট এ ধন্যবাদ লিখতে এবং রচনা টি শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।