বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনা টি ৩০০ শব্দ দিয়ে বানানো। এই রচনা টি class 3, 4, 5, 7, 8, 9, 10 সবার কাজে আসবে এবং ফুল মার্কস পেতে সাহায্য করবে।
Table of Contents
আমাদের জাতীয় জীবনে ১৬ই ডিসেম্বর সবচেয়ে আনন্দ ও গৌরবের একটি দিন। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাঙ্গালী এই দিনটি অর্জন করে। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় এই বিজয়। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ লাভ করেছিলো তাই এই দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় দিন।
১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে প্রায় দশ লাখ মানুষের সমাবেশে দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালি জাতিকে সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। তিনি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলে, যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রস্তুতি নিতে থাকে সমগ্র জাতি। ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। মধ্যরাতের পর হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রেফতারের পূর্বেই, অর্থাৎ ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেন। এর পরপরই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চলে এই যুদ্ধ। পাক হানাদার বাহিনী বাঙ্গালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে ভেঙে দিতে শুরু করে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা। গণহত্যার পাশাপাশি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শহরের পর শহর, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় তারা। বাংলাদেশ পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে।
অবশেষে, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। পরাজয় স্বীকার করে নেয়। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর এদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে দীর্ঘ রক্তাক্ত সংগ্রামের অবসান ঘটে। বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয় এবং বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালির বিজয় উৎসবের দিন। এদিন জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের সকল সামরিক ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবসের এ দিনে সারাদেশের সমস্ত স্কুল–কলেজ, ঘর-বাড়ি, দোকান–পাট ও যানবাহনে লাল –সবুজ পতাকা দেখা যায়। সারাদেশের সকল মসজিদ-মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।
বিজয় দিবস বাঙালির জীবনে একই সাথে আনন্দের দিন, আবার বেদনারও দিন। প্রতি বছর এ দিবসটি আমাদের মাঝে ঘুরে ফিরে এসে স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী লাখো শহিদের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে যায়। প্রিয় মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষায় মহান ইতিহাসের স্মরণে ’৭১ থেকে এ পর্যন্ত বিজয় দিবস অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে।
বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনা টি ভালো লেগে থাকলে এবং আপনার উপকারে আসলে কমেন্ট এ ধন্যবাদ লিখতে এবং রচনা টি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।