BANGLADESH
Welcome to Detailsbd.com

রেন্ট এ কার- rent a car এর ব্যবসা কিভাবে করবেন?

Category - 
5/5 - (1 vote)

রেন্ট এ কার (rent a car) এর ব্যবসা

ইচ্ছে হলেই দূরে কোথাও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে যাওয়া কিংবা অনুষ্ঠানাদিতে গাড়ি ছাড়া কি আর হয়। দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় প্রাইভেট গাড়িতে চড়ে যাওয়ার মজাই অন্যরকম। আজকাল প্রায় অনেকেই বিভিন্ন প্রয়োজনে/ অপ্রয়োনে, ঘুরতে/ বেড়াতে, কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রাইভেট কার ভাড়া নিয়ে থাকেন। আর এ জন্য প্রথম আমরা সবার আগে যার কথা মনে করি সে রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী।

রেন্ট এ কার- rent a car এর ব্যবসা কিভাবে করবেন?

আপনি না জানলেও এ ব্যবসায় কিন্তু বেশ লাভজনক। নিজের গাড়ি না থাকলেও শুধু ভালো যোগাযোগ থাকলে শুরু করতে পারেন এ ব্যবসা। আর হাতে কিছু পুঁজি থাকলে তো কথাই নেই।
 

 

কিভাবে রেন্ট এ কারের ব্যবসা শুরু করবেন?

প্রথম দিকে গাড়ির মালিক এবং গ্রাহকের মধ্যে মধ্যস্বত্বকারী হিসেবে শুরু করতে পারেন। মানে হচ্ছে আপনার নিজের তো গাড়ি নেই, কিন্তু যার গাড়ি আছে আপনি তাকে ট্রিপ এনে দিলেন এবং প্রতি ট্রিপে সে আপনাকে ৫০০-১০০০ টাকা কমিশন দিবে। এজন্য খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হবে না। শুধু একটি দোকান বা অফিস হলে হবে। যদি তাও না পারেন তাহলে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে ফ্রিতে পোস্ট করতে পারেন আপনার ব্যবসার ব্যাপারে, একটি ফেসবুক পেজও খুলে ফেলতে পারেন এবং সেখানে আপনার ব্যবসার ব্যাপারে সবাইকে জানাতে পারেন।

আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী/ উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ফেসবুক ব্যবসায়ী গ্রুপ এ জয়েন করতে এই লিংক এ ক্লিক করুন https://www.facebook.com/groups/facebkfootpath

 

কিভাবে ফেসবুকে আপনার গাড়ির প্রমোশন করবেন?

যেমন আপনি লিখলেন যে “আমার একটি ১২ সিটের হায়াচ ও ৬ সিটের প্রাইভেট কার আছে এবং দুটি পিকাপ আছে। যারা ঈদে বাড়ি যেতে চান বা কোথাও ঘুরতে যেতে চান অথবা বাসা পাল্টাতে চান তারা আমার এই নম্বরে 019-------6 যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা ঘুরে আসতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ থেকে ” এভাবেও আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে ফ্রিতে কিছু ট্রিপ পেয়ে যেতে পারেন। এছাড়া অল্পকিছু টাকা খরচ করে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনও দিতে পারেন, এতে খুব অল্প সময়েই অনেকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবে।

এছাড়াও ১০০০ টাকার মধ্যে নিজের নামে কিছু বিজনেস কার্ড করিয়ে নিতে পারেন এবং আপনার চেনা জানা বিভিন্ন মার্কেটের সব দোকানে বিলি করে আসতে পারেন। এতে করেও একটা সময় আপনার পরিচিতি বাড়বে এবং ট্রিপ আসা শুরু করবে।

এছাড়াও আপনি চাইলে ছোট খাটো দোকান নিয়ে বসতে পারেন। অনেক কেই দেখবেন রাস্তার পাশে এভাবে দোকান দিয়ে বসে থাকে। এভাবে শুরু করতে চাইলে দুটি গাড়ি নিয়ে শুরু করতে পারেন।

আর নিজস্ব গাড়ি নিয়ে শুরু করলে বিশ্বস্ত, দক্ষ এবং বৈধ লাইসেন্সধারী চালক নিয়োগ দিতে ভুল করা যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি নিজেও ড্রাইভিং পারেন, কারন এতে করে আপনি এ ব্যবসার খুঁটিনাটি বুঝবেন আরো ভালো করে এবং চাইলে নিয়েও ট্রিপ মারতে পারবেন। এছাড়া এলাকায় পরিচিতি বাড়াতে হবে, প্রচার প্রচারণা করতে হবে। ধৈর্য এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা এই ব্যবসার সফলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন  আমদানি রপ্তানি / এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যবসা ও লাইসেন্স করার নিয়ম

 

কি কি দরকার হয় এ ব্যবসায় নামতে?

অন্যান্য ব্যবসার মতো রেন্ট-এ কারের ব্যবসা শুরু করার জন্যও প্রয়োজন হয় ট্রেড লাইসেন্সের। তবে আপনি যদি শুধু ফেসবুকের মাধ্যমে প্রমোশন করেন ও ট্রিপ প্রতি কমিশন নেন তাহলে আপাতত ট্রেড লাইসেন্স এর দরকার নেই।
ট্রেড লাইসেন্স এর সঙ্গে বিআরটিএ থেকে রেন্ট-এ কার ব্যবসার অনুমতিও নিতে হয়। সেই সঙ্গে স্থানীয় রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য হতে পারেন। এতে বাড়তি কিছু সুবিধা পাবেন । আর নিজস্ব গাড়ির জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন কাগজপত্রের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রোড পারমিট, লাইসেন্স, বীমা ইত্যাদি। সেই সাথে ট্যাক্স-টোকেনও করিয়ে নিতে হবে। গাড়ির কাগজপত্রের জন্য দালালের দ্বারস্থ না হয়ে সরাসরি অফিসে গিয়ে কাগজ করানো উচিত। এতে করে আপনি অনেকের সাথে পরিচিত ও হতে পারবেন এবং অনেক গোপন বিস্তারিত বিশয়াদি শিখতে পারবেন।

 

কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ?

গাড়ি যেটাই হোক না কেন, কাস্টমার গাড়ির রং আর নতুনত্ব দ্বারাই বেশি আকৃষ্ট হয়। সেই জন্য গাড়ি কেনার সময় এ দুটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে তার গাড়ির কন্ডিশন কেমন এবং তিনি প্রতি বছর গাড়ির সার্ভিসিং করান কিনা। আর নিজেই গাড়ি কিনতে চাইলে গাড়ির শোরুমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। নতুন গাড়ি দিয়ে শুরু করতে না চাইলে পুরাতন গাড়ি নতুন দামের ৩ ভাগের ২ ভাগ বা এর চেয়েও কম দামে কিনতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং গাড়ি সম্পর্কে ভালো বুঝেন এমন কাওকে নিয়ে গাড়ি কিনতে হবে। আমার মতে নতুন গাড়ির চেয়ে যদি ভালো কোনো সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি পেয়ে যান তাহলে সেটা কেনাই ভালো হবে শুরুর দিকে। ধীরে ধীরে ব্যবসা বুঝে তারপর নাহয় নতুন গাড়ি কিনবেন।

রাজধানী ঢাকার কাকরাইল, তেজগাঁও, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়ির শোরুম আছে। এসব শোরুম থেকে গাড়ি কিনতে পারেন। এ ছাড়া আমদানিকারকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেও পছন্দ অনুযায়ী গাড়ি কিনতে পারেন।

 

কিভাবে গাড়ি ভাড়া দেয়া হয়?

সাধারনত তিনভাবে গাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়। প্যাকেজ ভাড়া, বডি ভাড়া এবং মাসিক ভাড়া। বডি ভাড়া হলে গাড়ির গ্যাসসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ সেবাগ্রহীতা বহন করেন। এ ক্ষেত্রে এক দিনের জন্য গ্রাহককে দুই হাজার ৫০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। প্যাকেজ পদ্ধতিতে দূরত্ব বিবেচনা করে গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। মাসিক ভাড়া পদ্ধতিতে কিলোমিটার হিসাব করে ভাড়া আদায় করা হয়। বিভিন্ন কোম্পানি মাসিক ভাড়া পদ্ধতিতে রেন্ট-এ কার থেকেও গাড়ি ভাড়া নেয়।


 

কেমন লাভ হয়?

রেন্ট-এ কার ব্যবসায় লাভের পরিমাণ নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। গাড়ি নিজস্ব না হলে প্রতি হাজারে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা কমিশন পান রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী। আর নিজস্ব গাড়ির ক্ষেত্রে ভাড়ার পুরোটাই চলে আসে রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ীর পকেটে। মাসিক ভাড়ার ক্ষেত্রে কিলোমিটার হিসাবে ভাড়া পাওয়া যায়। তবে গাড়ির পরিমাণ যত বেশি থাকবে এবং যত বেশি ভাড়া দেওয়া যাবে, লাভের পরিমাণ তত বেশিই হবে।

আরও পড়ুন  Event management - ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কি?

যদি দোকান নেন তাহলে রেন্ট-এ কার ব্যবসার পাশাপাশি দোকানে অন্যান্য ছোটখাটো ব্যবসাও করতে পারেন। এর মধ্যে মোবাইল ফোনে টাকা রিচার্জ, ফটোকপি, কম্পিউটার কম্পোজ করতে পারেন। রেন্ট-এ কার ব্যবসার সফলতা নির্ভর করে পরিচিতির ওপর। এজন্য আপনাকে অবশ্যই পরিচিতি বাড়াতে প্রচার প্রচারণা করতে হবে।

শুধুমাত্র ট্রিপ এনে দিয়েও শুরুর দিকে ১০-১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন, আর আস্তে আস্তে যত পরিচিতি বাড়বে লাভও তত বাড়বে।

 

কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে?

  • গাড়ি ভাড়া দেওয়ার আগে গ্রাহক সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিতে হবে।।
  • অবশ্যই দক্ষ এবং পরিচিত চালক কে নিয়োগ দিতে হবে।
  • বৈধ লাইসেন্সধারী চালক নিয়োগ দিতে হবে।
  • গাড়ির আনুষঙ্গিক কাগজপত্র যথাসময়ে নবায়ন করিয়ে নিতে হবে।
 

 

একটি সত্যি গল্প

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার বল্লভপুর গ্রামে জন্ম দেলোয়ার হোসেনের। তবে গ্রাম ও শহরের বেশির ভাগ মানুষ দেলু নামেই ডাকে। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে আর পড়াশোনা হয়ে উঠেনি স্বাধীনের। পাশের বাড়ির এক চাচা তাকে রূপালী ব্যাংকে একটি পিওন পোস্টে চাকরি দেন। বেশ কিছু দিন পিওন পোস্টে চাকরি করেন এবং চাকরি করার পাশাপশি ছুটির দিনে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শেষ করার পর লাইসেন্স রেব করেন। পরে কিছুদিন বড় ভাইয়ের সাথে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে গাড়ি চালক হিসেবে চাকরি পান। এভাবে পর পর তিনটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরে ১৯৯৮ সালে মিরপুরে অবস্থিত হংকং’র রাড্ডা কোম্পানিতে চাকরি পেলেন।

তখন ‘রাড্ডা কোম্পানি’তে ২০টি গাড়ির জন্য ২০টি ড্রাইভার ছিল। ড্রাইভারদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে জানতে পারেন যে অনেক ড্রাইভাররা নিজেরা গাড়ি কিনে অন্য কোম্পানিতে ভাড়া দেন। তখন থেকে তার মনে গাড়ি ক্রয় করার ইচ্ছা জাগে প্রবল ভাবে।

তারপর এক ড্রাইভার চাচার সাথে একটি পুরাতন গাড়ি ক্রয় করার বিষয়ে আলোচনা করেনএবং যেই আলোচনা সেই কাজ। চাচা-ভাতিজা ২০০৩ সালে ১৫ সিটের একটি পুরাতন গাড়ি ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। সবার সাথে ভালো পরিচিতি ও ভালো ব্যবহারের কারণে তাদের দুই জনের গাড়ি ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে আয় বাড়তে থাকে। এর পরে তারা আরো দুটি পুরাতন গাড়ি ক্রয় করে ভাড়া দেন। চাকরির পাশাপাশি তার প্রতিদিন আয় বাড়তে থাকে এভাবে। সেই সাথে বাড়তে থাকে পরিচিতি, বৃদ্ধি পায় তার নেটওয়ার্ক।

১৯৯৮ সালে ঢাকা ক্রেডিটে তার শুধু সঞ্চয়ী হিসাব ছিল। পরে ঢাকা ক্রেডিটের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। তারপর যখন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পারলেন ঢাকা ক্রেডিট গাড়ি ঋণ প্রদান করছে, তখন তার শেয়ার বৃদ্ধি করে ২০১০ সালে একটি ঋণ হিসেবে নতুন ১টি গাড়ি নিলেন সমিতি থেকে। আগের সবগুলো গাড়ি ই তার পুরাতন ছিল। ঢাকা ক্রেডিট থেকে ঋণের মাধ্যমে নেওয়া গাড়িটিই ছিল তার নিজের কেনা নতুন গাড়ি।

আরও পড়ুন  ই-কমার্স (e commerce) ব্যবসা কি? ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন

একটা সময় তার গাড়ির সংখ্যা দাঁড়ায় মোট আটটিতে। আটটি গাড়ির মধ্যে ছয়টি গাড়ি ছিল স্বাধীনের নিজস্ব টাকায় কেনা। বাকি দুটি গাড়ি অংশিদার হিসেবে কিনেছিলেন। তবে একসময় সেই দুটি গাড়িও টাকা পরিশোধ করে নিজের নামে করে নেন। ঢাকা ক্রেডিট থেকে যে চারটি গাড়ি ঋণ নিয়েছিলেন তা কিছুদিন পূর্বে সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছেন।

 

২০০৫ সালে দেলোয়ার সাহেব রেন্ট-এ কার ব্যবসা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করেন। তার রেন্ট-এ কারের নাম ‘সৃষ্টি রেন্ট-এ কার’। সেখানে পাঁচজন দক্ষ ড্রাইভার কাজ করছেন। চারটি গাড়ি বেশি পুরাতন হওয়ার কারণে এবং নিজের চাকরির কাজের চাপ বেশি থাকার কারণে তিনি চারটি গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে আবার কিছু দিন পরে নতুন মডেলের আপডেট গাড়ি কেনার চিন্তা করছেন।

তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে গাড়ি ভাড়া দেন। বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানিতে তিনি মাস হিসেবে গাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে কোরিয়ান কোম্পানিতে তিনি গাড়ি ভাড়া দেন। কোম্পানিতে গাড়ি ভাড়া দিলে সময়মতো ভাড়া পাওয়া যায়, কোন সমস্যা হয় না এবং লাভও ভালো আসে।

প্রতিটি ব্যবসায়েই ঝুঁকি বিদ্যমান। গাড়ি ব্যবসায় তো আরো বেশি ঝুঁকি রয়েছে। দেলোয়ার পাঁচটি গাড়ির মালিক হয়েছেন জেনে মিরপুরের কিছু নেতা লক্ষাধিক টাকা চাঁদা দাবি করেন। এলাকায় ভাল পরিচিতি এবং মানুষের সাথে ভাল সস্পর্ক থাকার কারণে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি বিষয়টি সমাধান করেন। এর পরে আর কেউ কখনো স্বাধীনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেনি এবং কাছেও ঘেষেনি।

এ ছাড়া গাড়ি দুর্ঘটনা বাংলাদেশে একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। প্রতিদিন খররের কাগজে চোখ মেললেই সড়ক দুর্ঘটনার খবর দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু দেলোয়ারের ক্ষেত্রে তা একেবারে ব্যতিক্রম। তার রেন্ট-এ কারের গাড়ি আল্লাহর রহমতে কখনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি, এমন কি কোনো ড্রাইভারের অঙ্গহানির ঘটনাও ঘটেনি।

তিনি বলেন, "রেন্ট-এ কারের গাড়ি চালকদের বেতন সাত হাজার টাকা, কিন্তু আমি প্রদান করি ১২ হাজার টাকা। দূরে কোথাও কোনো ট্রিপে গেলে ফিরে আসার পরে ড্রাইভারকে কিছু বোনাস প্রদান করি। তাছাড়া প্রতিদিন দুপুরের খাবারের জন্যও একশত টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ড্রাইভারদের চাহিদা পূরণ না করলে তাদের তেল চুরির একটি প্রবনতা থাকে। অথবা ইচ্ছা করেই তারা অনেক সময় গাড়ির বড় ধরনের ক্ষতি করে থাকে। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকি ড্রাইভারদের চাহিদা পূরণ করার জন্য। এই জন্য আমার গাড়িগুলোর কখনও তেমন বড় ধরনের কোনো ক্ষতি করে নি কোন ড্রাইভার। যদি কোনো ড্রাইভারকে বরখাস্ত করি তখন তাকে আমি এক মাসের বেতন অগ্রিম দিয়ে বরখাস্ত করে থাকি, যেন কখনও অন্য কোথাও গিয়ে কোনো প্রকার খারাপ মন্তব্য করতে না পারে।"

আজ প্রায় ২২ বছর যাবৎ তিনি ঢাকা বসবাস করছেন। শুধু গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করলেও ধীরে ধীরে তিনি হয়েছেন ফুটফুটে একপুত্র ও কণ্যা সন্তানের বাবা। অপর দিকে তার স্ত্রী মিরপুর শিশু হাসপাতালে নার্সের চাকরি করেছেন। দুটি ছেলে-মেয়েকে পড়াশোনা করানোর পরেও তিনি নিজ গ্রাম বল্লভপুরে কিছু ধানী জমি কিনেছেন।

স্বাধীনের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে অদম্য ইচ্ছা, সাহস, পরিশ্রম ও সততা।


লেখাটি আপনার উপকারে আসলে কমেন্টে "Done" লিখুন। আপনার পরিচিত বন্ধুদের সাথে লেখাটি শেয়ার করলে খুশি হব।

 

 
nothing in footer
 Share this post from here. 

Related Posts

২ comments on “রেন্ট এ কার- rent a car এর ব্যবসা কিভাবে করবেন?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।

linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram