বিটকয়েন হচ্ছে মূলত একটি ডিজিটাল কারেন্সি বা ডিজিটাল মূদ্রা, যা দিয়ে আমরা বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করতে পারি আবার চাইলে এটিকে আমরা জমিয়েও রাখতে পারি। তবে যেহেতু এটি ডিজিটাল মূদ্রা তাই এটিকে শুধু দেখা যায়, এটির কোনো বাস্তবিক রুপ নেই। মানে এটি কোনো কাগজের মূদ্রা নয়।
ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের জন্ম ২০০৮ সালে। ওই বছরের শেষভাগে জাপানি নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের একজন বা একদল সফটওয়্যার প্রকৌশলী এই ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ভাবন করেন। ২০০৮ সালে এর নকশা হলেও এটি মুক্ত সোর্স সফটওয়্যার হিসেবে প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে।
এসব মূদ্যাকে ওই দেশের সরকার ও ব্যাংক গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। মানে সরকার যত খুশি এই টাকা ছাপাতে পারবে, আবার চাইলে এই টাকাকে বাতিল ও করে দিতে পারবে।
আমাদের পাশের দেশ ভারতেই খুব সম্প্রতি ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছে। তাহলে যারা এই টাকা এখনো নিজের কাছে রেখে দিয়েছে তাদের ওই এক হাজার টাকার এখন কোনো মূল্য নেই।
এই মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তাই সরকারই প্রতিটা দেশের মূদ্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর ব্যাংক এর মাধ্যমে এসব অর্থের লেনদেন কে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কিন্তু বিটকয়েন এর প্রতিষ্ঠাতা ‘সাতোশি নাকামোটো’ এমন একটি অর্থ ব্যবস্থাকে বানাতে চেয়েছিলেন যার নিয়ন্ত্রণ কোনো সরকার এর কাছে থাকবে না। এই অর্থের নিয়ন্ত্রণ থাকবে জনগনের কাছে।
মানে জনগনই বিটকয়েনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং এই সবই হয় ব্লকচেইন টেকনোলোজির মাধ্যমে।
এখন হয়ত আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ব্লকচেইন টেকনোলজি টা কি আবার!
ব্লকচেইন টেকনোলজি হচ্ছে এমন একটি টেকনোলজি যা গোটা দুনিয়াকে পরিবর্তন করে ফেলবে খুব শিঘ্রই। ব্লকচেইন টেকনোলজির মূল উদ্দেশ্যই হলো ইন্টারনেটকে আরো অধিক বেশি সেফটি প্রদান করা ও দুনিয়াকে ডিসেন্ট্রালাইজড দুনিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়া।
ডিজিটাল কারেন্সি, NFT, ডিসেন্ট্রালাইজড শোশ্যাল মিডিয়া, মেটাভার্স, আরো অনেক কিছু। হয়ত আপনি কিছুই বুঝতে পারেন নি এগুলো পড়ে, কিন্তু এগুলো খুব শিঘ্রই ইন্টারনেট এর দুনিয়া কে চেঞ্জ করে ফেলবে।
ব্লকচেইন হচ্ছে অনেক গুলো ব্লকের একটি চেইন। প্রতিটি ব্লকে আগের ইউজার ও বর্তমান ইউজার এর সকল তথ্য থাকে, এবং এই ব্লক গুলো এমন ভাবে সাজানো থাকে যে কেউ যদি যেকোনো একটি ব্লক কে চেঞ্জ করতে চায় বা হ্যাক করতে চায়, তাহলে বাকি ব্লক গুলো আর কাজ করবে না। মানে এখানে হ্যাকিং করা ইমপোসিবল।
আর এই ব্লকচেইন গুলো নিয়ন্ত্রন করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা বিভিন্ন মানুষ, কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির হাতে এই ব্লকচেইন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নেই। ফলে ইউজার ই এর মালিক এবং ইউজার ই ভোক্তা। তাই ইউজার এর সকল তথ্য এখানে সেফ ও সিকিওর।
বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি তে ইনভেস্ট করার বিভিন্ন রকম উপায় আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো কোনো ক্রিপ্টো এক্সচেক্স এর মাধ্যমে ইনভেস্ট করা যেমনঃ Binance, Coinbase, Trust wallet ইত্যাদি।
বর্তমানে যেসব ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ রয়েছে এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়, সেফ ও সিকিওর প্লাটফর্ম হচ্ছে Binance এক্সচেঞ্জ। এটি বিশ্বের এক নম্বর এক্সচেঞ্জ বর্তমানে, এবং এতে আপনি বিকাশ, রকেট বা নগদের মাধ্যমেও খুব সহজে ডলার কিনে বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারবেন।
আসুন এবার আপনাকে জানাই যে,
সবার প্রথমে নিচের এই লিংক থেকে আপনারা Binance এর ওয়েবসাইট এ গিয়ে আপনার ইমেইল ও ফোন নম্বর দিয়ে একটি ফ্রি একাউন্ট খুলবেন।
https://accounts.binance.me/en/register?ref=83548454
একাউন্ট খোলা একদম সহজ আর এই লিংক দিয়ে একাউন্ট খুললে আপনারা পেয়ে যাবেন প্রত্যেক ট্রানজেকশনের উপর ২০% ডিসকাউন্ট আজীবন।
এরপর আপনাকে আপনার একাউন্ট টি ভেরিফাই করে নিতে হবে আপনার NID অথবা পাসপোর্ট দিয়ে।
ভেরিফাই হয়ে গেলেই আপনি একদম রেডি আপনার প্রথম বিটকয়েন কেনার জন্য।
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ভাই অনেক কিছু জানতে পারলাম
Thanks vai