বায়িং হাউজ হচ্ছে এক প্রকার থার্ড পার্টি, যারা মূলত ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে সম্পর্ক তৈরি করে এবং পন্যের গুনগত মান ঠিক রেখে তা ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে।
মূলত বাইরের দেশথেকে যারা আমাদের বাংলাদেশের গার্মেন্টসে জামা-কাপড় এর অর্ডার দেন, তারা আসলে সরাসরি কোনো গার্মেন্টস কে কাজের অর্ডার দেন না। তারা প্রথমে ভালো একটি বায়িং হাউজ (Buying house) এর কাছে অর্ডার দেন।
বায়িং হাউজ হচ্ছে মূলত এমন একটি প্রতিষ্ঠান যারা দেশের ভেতরের ও বাইরের বিভিন্ন ক্লায়েন্ট/ বায়ার এর কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে আসে। তারপর তারা একটি গার্মেন্টস এর কাছথেকে সেই অর্ডারকৃত জামা-কাপড় বানিয়ে নেয় এবং তাদের ক্লায়েন্টকে সাপ্লাই করে।
আরও পড়ুন
ইন্সুরেন্স/ বীমা কি?
টি-শার্ট ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে?
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা করে লাখ টাকা আয়
দেশী মুরগী পালন করে লাখ টাকা আয়
গার্মেন্টস এর কাজ হচ্ছে কাপড় বানানো আর বায়িং হাউজ এর কাজ হচ্ছে ক্লায়েন্ট এর কাছথেকে অর্ডার নিয়ে তা গার্মেন্টসকে দেয়া। বাংলাদেশে এমন অনেক গার্মেন্টস আছে যাদের নিজস্ব বায়িং হাউজ আছে এবং বাইরের বায়িং হাউজ থেকেও তারা বিভিন্ন অর্ডার কালেক্ট করে।
যারা বায়িং এর ব্যাবসা করেন এবং বায়িং হাউজের সবকিছু দেখাশোনা করেন তাদের মার্চেন্ডাইজারও বলা হয়। একজন মার্চেন্ডাইজারকে অর্ডার অনুযায়ী পোষাক সরবরাহ ও মান নিয়ন্ত্রনের কাজটিও পরোক্ষভাবে জানা থাকতে হয়, দেখতে হয় বায়ারের চাহিতামত পন্য তৈরি হয়েছে কিনা আর মানসম্পন্ন হয়েছে কিনা।
এবার আসি কিভাবে একটি বায়িং হাউজ দেবেন সেই প্রসঙ্গে, বায়িং হাউজ এর ব্যাবসা অত্যন্ত লাভজনক ব্যাবসা এবং আমাদের দেশের তরুণ সমাজের প্রচুর আগ্রহ আছে এই ব্যাবসায়, তাই বলা যায় যে বায়িং হাউজের হাত ধরে শিল্প বিপ্লব ঘটতে পারে এদেশে।
তবে বলে রাখা ভালো যে,একটি বায়িং হাউজ দেয়া কিন্তু মুখের কথা না। তবে ভয় পাবার কিছু নেই, কারন আপনি যদি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য বায়িং হাউজ দেয়া কঠিন হয়ে উঠবে না। কিছু বেসিক কথা বলে নেই প্রথমে,
যেহেতু বাইরের দেশের ক্লায়েন্টের সাথেই আপনার বেশি কাজ থাকবে তাই আপনাকে অবশ্যই ইংরেজীতে পারদর্শী হতে হবে। তাছাড়াও চাইলে কিছু ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন, চাইনিজ, জাপানিজ ও শিখে নিতে পারেন। এতে করে বায়ার আপনার প্রতি আরো বেশি আন্তরিক ও আকৃষ্ট হবে যা আপনার জন্য সুফল বয়ে আনবে।
সবথেকে ভালো হয় আপনি যদি আপনার ছোটবেলার বা আপনার বিশ্বস্ত কজন ঘনিষ্ট বন্ধুদের, অথবা আপনার পরিবারের কিছু সদস্যদের সাথে সাথে মিলে একটি বায়িং হাউজ দেন। সেক্ষেত্রে সবার সাথে আপনি কাজ ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন এবং সফলতা পাবেন খুব দ্রুত।
তবে আপনি যদি সবার সাথে মিলেমিশে কাজ না করতে পারেন এবং সঠিক পার্টনারকে বাছাই না করতে পারেন, তাহলে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। যেখানে বায়িং হাউজ দেবেন সে এলাকার সবার সাথে পরিচিত এবং গন্য মান্য ব্যাক্তির সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে তা আপনাকে অনেক সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি দেবে।
আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী/ উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ফেসবুক ব্যবসায়ী গ্রুপ এ জয়েন করতে এই লিংক এ ক্লিক করুন https://www.facebook.com/groups/facebkfootpath
এবার আসি একটু গভীর কথায়, বায়িং হাউজ তো আর হুট করেই দিতে পারবেন না। তার জন্য লাগবে অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, সততা, দৃঢ়তা, টাইমিং ধরে রাখা, এবং আপনার কর্মীদের কথা ভাবা। অভিজ্ঞতার জন্য আপনি বায়িং হাউজ এর জন্য বিভিন্ন কোর্স এ ভর্তি হতে পারেন যারা আপনাকে হাতে কলমে সব কিছু শিখিয়ে দেবে। যেমন কাপড়ের দাম, কাপড়ের রকমফের, সুতার গুনগত মান, কোনটা কেমন শেলাই, পোষাকের নেট খরচ কত পরবে ইত্যাদি। একেই মার্চেন্ডাইজিং বলা হয়। এই সব কিছু সম্পর্কে আপনাকে ধারনা রাখতে হবে এবং পাশাপাশি কোথাও জব করে দক্ষতা বাড়াতে হবে।
মার্চেন্ডাইজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে, আপনি যদি ভাবেন অন্য কাওকে দিয়ে আপনার কাজ করিয়ে নেবেন তাহলে সেটা হবে চরম ভুল ধারনা। কারন আপনি নিজে ব্যাবসা না বুঝলে অন্যের ভুল ধরতে পারবেন না এবং এক্ষেত্রে আপনার ঠকবার সম্ভাবনা বেশি। মনে রাখবেন, “অভিজ্ঞতাই আপনার সবথেকে বড় সম্পদ।”
এছাড়া মার্চেন্ডাইজিং এর উপরও কোর্স আছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় রয়েছে ৩ মাস, ৬ মাস এবং ১ বছর মেয়াদী কোর্স। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে আছে ১ থেকে ২ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স, উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক কোর্স। বিএসসি অনার্স ইন ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল মাকেন্ডাইজিং অথবা করতে পারেন এমবিএ ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং।
একজন মার্চেন্ডাইজারকে ফ্যাশন ও টেক্সটাইলের খুঁটিনাটি জানতে হয়। মার্চেন্ডাইজিংএর কোর্সগুলোতে পন্য সরবরাহ প্রক্রিয়া ও ব্যাবস্থাপনা, মার্চেন্ডাইজিংএর সূচনা, টেক্সটাইল ফাইবার এন্ড ইয়ার্ন, ওভেন ফেব্রিক, সোয়েটার ডিজাইন, টেক্সটাইল ফিনিশিং, প্রিন্টিং এন্ড টেস্টিং, প্যাটার্ন মেকিং, মান ব্যাবস্থাপনা, উৎপাদন পরিকল্পনা ও ব্যাবস্থাপনা, সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স, কমার্শিয়াল প্রসিডিউর, কনজামশন এন্ড গার্মেন্টস কাস্টিংসহ শিখতে হয় স্টাডিজ প্ল্যানিং, প্রিন্টিং ফ্যাশন, ফেব্রিক ডিজাইন, এক্সেসরিস ডিজাইন, ফ্যাশন মার্কেন্ডাইজিং, কালার মিক্সিং, টেক্সটাইল সাইন্স, বিপনন ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় শিক্ষা প্রদান করা হয়। এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরী মার্চেন্ডাইজিংয়ে কাজ করার জন্য অথবা বায়িং হাউজ খোলার জন্য।
এবার আসছি আসল কথায়, আমাদের দেশে গার্মেন্টস আছে প্রায় ৫ হাজারের মত এবং বায়িং হাউজের সংখ্যা আরো বেশি এবং সাথে ফ্যাশন হাউজ আর বুটিক হাউজতো আছেই। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে তবে আমাদের দেশে দক্ষ কারিগর ও কর্মীর অভাব তাই কম্পিটিশন কম বলা চলে। বায়িং হাউজ দিতে হলে আপনাকে এই ব্যাবসার বৈধতা সম্পর্কে জানতে হবে, লাগবে এ ব্যাবসার বৈধ সনদপত্র।
তাই আপনাকে প্রথমেই একটি ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে নিতে হবে এবং বিজিএমইএর (BGMEA) সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র আপনি বিজিএমইএ থেকে বিনামূল্যেই নিতে পারবেন। আপনাকে আবেদনপত্রের সাথে ট্রেড লাইসেন্সের কপি, ২ কবি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, মেমোরেন্ডাম। অংশীদারি দলিলের কপি, ভাড়ার চুক্তিপত্র অথবা ক্রয় দলিল, ট্যাক্স সার্টিফিকেট এর কপি, এবং বিনিয়োগ বোর্ডের ওয়ার্ক পারমিট সংযুক্ত করে তা বিজিএমইএর নিজস্ব প্যাডে সাক্ষরসহ জমা দিতে হবে। আবেদন করার পর বিজিএমইএ থেকে একজন তদন্ত কর্মকর্তা পাঠাবে সবকিছু যাচাই করে দেখার জন্য এবং সব ঠিক থাকলে আপনাকে একটি সনদপত্র দেবে বিজিএমইএ। সনদপত্র পাবার জন্য তৃতীয় কোনো ব্যাক্তির কাছে টাকা বা ঘুষ দেবেন না, এতে আপনি হয়রানির স্বীকার হবেন। ধৈর্য নিয়ে কাজ করুন এবং কিছুদিন বা এক মাসের মধ্যেই সব কাজ হয়ে যাবে।
বিজিএমইএর বায়িং হাউজ এর জন্য নিবন্ধন ফি লাগবে প্রায় ১৫ হাজার এর মত এবং এর সাথে ১ বছরের সদস্য ফি আরো ৮ হাজার টাকার মত পরবে। বিজিএমইএর নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব নম্বরে এ টাকা জমা করতে হবে। প্রতি বছর সদস্য ফি দিয়ে আপনার সদস্যপদের সনদ নবায়ন বা রিনিউ করতে হবে। এখন আপনি সব জেনে গেছেন কিভাবে শুরু করবেন তাই কাজে লেগে পরুন এবং আপনার প্ল্যানিং শুরু করে দিন।
আর মনে রাখবেন, বায়িং হাউজের যদি বিজিএমইএর সদস্যপদ না থাকে তাহলে ক্লায়েন্ট পেতে আপনাকে বিড়ম্বনায় পরতে হবে, কারন আপনার ক্লায়েন্ট আপনার সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে চাইবে এবং যাচাই বাছাই করেই আপনাকে অর্ডার দেবে। বিজিএমইএর সদস্যপদ থাকলে ক্লায়েন্ট পেতে অনেক সুবিধা হবে। কিন্তু আপনার যদি টাকা পয়সার কোনো সমস্যা থাকে, বা সনদ আসতে যদি একটু দেরি হয় তাহলে ভয় পাবার কিছু নেই। আপনি আপনার মত করে ক্লায়েন্ট খোঁজা শুরু করে দিন এর মধ্যে আর যদি ভাগ্য ভালো থাকে এবং দক্ষতা থাকে তাহলে হয়ত প্রথম ক্লায়েন্ট পেয়েও যেতে পারেন। মূলত সবাই প্রাথমিক ভাবে শুরু করার ক্ষেত্রে আগে ক্লায়েন্ট জোগাড় করে কাজ শুরু করে তারপর সনদপত্র নেয়, তাই ঘাবড়াবার কিছু নেই।
সবার আগে জানা থাকা প্রয়োজন যে বায়িং হাউজে কি ধরনের কাজ হয় এবং একটি বায়িং হাউজে কি কি ডিপার্টমেন্ট থাকে কারন বায়িং হাউজে একেক ডিপার্টমেন্ট এ একেক ধরনের লোক নেয়া হয়। আর শিক্ষাগত যোগ্যতাও ভিন্ন হয়। প্রায় প্রতিটি বায়িং হাউজে যে ডিপার্টমেন্ট গুলো থাকে তা হলো
একটি বায়িং হাউজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন লোক হচ্ছেন মার্চেন্ডাইজার, কারন তার মাধ্যমেই বিদেশে থাকা বায়ারদের ইমেইল করে অথবা টেলিফোন বা স্কাইপে নিয়মিত যোগাযোগ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হয়। এছাড়াও তাকে প্রডাক্ট এর স্যাম্পল বানানো, ফেব্রিক কোয়ালিটি, ল্যাব ডিপ, ট্রিম কার্ড ইত্যাদি বানিয়ে বায়ারের কাছে পাঠাতে হয় ও তাকে খুশি করতে হয়।
তাই একজন মার্চেন্ডাইজার কে অবশ্যই ইংরেজী জানতে হবে এবং স্মার্ট হতে হবে, পাশাপাশি কিছু বিদেশি ভাষাও শিখে রাখতে হবে যাতে বায়ার দের সাথে ভালো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। পাশাপাশি তাকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটরেও পারদর্শিতা থাকা লাগে।
মার্চেন্ডাইজার এর পরেই সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার। এদের কাজ হচ্ছে স্যাম্পল বুঝে নিয়ে সেই মোতাবেক প্রডাক্ট এর কোয়ালিটি এনশিওর করা। প্রতিটি প্রডাক্ট চেক করে দেখা এবং বেস্ট প্রডাক্ট গুলো বেছে নেয়া। কোনো খারাপ প্রডাক্ট বায়ার কে দিলে পরবর্তীতে বায়ার আর কোনো অর্ডার দিবে না, তাই প্রতিটি বায়ার খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং সেই কাজটাই করেন একজন কোয়ালিটি কন্ট্রোলার।
তাছাড়া অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট গুলোতে চাকরির পাবার জন্য কোনোরকম গ্র্যাজুয়েশন পাশ হলেই এপ্লাই করা যায়। কিন্তু কোয়ালিটি ও ক্যাড পদের বেলায় যোগ্যতাকেই সবার আগে প্রাধান্য দেয়া হয়, কারন এই সমস্ত পদে অভিজ্ঞ লোক দরকার পরে, অভিজ্ঞতাই সবার আগে।
যেহেতু আগেই বলেছি যে বায়িং হাউজে ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্ট্মেন্ট এ লোক নিয়োগ দেয়া হয় তাই তাদের বেতন ও ভিন্ন হয়। একজন অভিজ্ঞ মার্চেন্ডাইজার মাসে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখের বেশিও বেতন পান প্রতিষ্ঠান ভেদে। এছাড়াও কিছু বাড়তি ইনকামের সুযোগ থাকে। একজন কোয়ালিটি কন্ট্রোলারের বেতন ২০ থেকে ৩০ এর কাছাকাছিও হতে পারে। এই লাইনে আপনার অভিজ্ঞতার জন্য আপনাকে মানুষ বেতন দেবে, আপনি যত বেশী অভিজ্ঞ হবেন আপনার বেতন ও তত ভালো হবে।
এছাড়া আপনি যদি বায়িং নাও খুলতে পারেন তাহলে মার্চেন্ডাইজিং এর উপর পড়াশোনা করতে পারেন। দেশি বিদেশী বস্ত্র কারখানা, বিভিন্ন বায়িং অফিস, ফ্যাশন হাউজ, তৈরি পোশাকশিল্প ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে সরাসরি কাজ করার সুযোগ রয়েছে মার্চেন্ডাইজারদের। বেতন নির্ভর করছে অভিজ্ঞতা ও আপনার কর্মদক্ষতার উপর। তবে এক্ষেত্রে বেতন দ্রুত বৃদ্ধি পায়, পাঁচ থেকে ছয় বছরের মাঝেই আপনার বেতন ৭০-৯৫ হাজারে উন্নীত হতে পারে আর সাথে অন্যান্য সুবিধাতো থাকছেই
বায়িং হাউজ কি?
বায়িং হাউজ মূলত একধরনের থার্ড পার্টি যারা ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে সম্পর্ক তৈরি করে কাজ সম্পাদন করে, বিনিময়ে তারা কিছু কমিশন লাভ করে।
মার্চেন্ডাইজার কি?
একটি বায়িং হাউজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন লোক হচ্ছেন মার্চেন্ডাইজার, কারন তার মাধ্যমেই বিদেশে থাকা বায়ারদের ইমেইল করে অথবা টেলিফোন বা স্কাইপে নিয়মিত যোগাযোগ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হয়। এছাড়াও তাকে প্রডাক্ট এর স্যাম্পল বানানো, ফেব্রিক কোয়ালিটি, ল্যাব ডিপ, ট্রিম কার্ড ইত্যাদি বানিয়ে বায়ারের কাছে পাঠাতে হয় ও তাকে খুশি করতে হয়।
বায়িং হাউজে বেতন কত?
বায়িং হাউজে ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্ট্মেন্ট এ লোক নিয়োগ দেয়া হয় তাই তাদের বেতন ও ভিন্ন হয়। একজন অভিজ্ঞ মার্চেন্ডাইজার মাসে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখের বেশিও বেতন পান প্রতিষ্ঠান ভেদে। এছাড়াও কিছু বাড়তি ইনকামের সুযোগ থাকে। একজন কোয়ালিটি কন্ট্রোলারের বেতন ২০ থেকে ৩০ এর কাছাকাছিও হতে পারে।
বায়িং হাউজ দেয়ার জন্য কোর্স কোথায় করব?
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় রয়েছে ৩ মাস, ৬ মাস এবং ১ বছর মেয়াদী কোর্স। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে আছে ১ থেকে ২ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স, উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক কোর্স। বিএসসি অনার্স ইন ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল মাকেন্ডাইজিং অথবা করতে পারেন এমবিএ ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং।
বায়িং হাউজ, বায়িং হাউজে চাকরি পাওয়ার উপায়, বায়িং হাউজ কি, বাইং হাউজ এর কাজ কি, বাইং হাউজ, বায়িং হাউজে বেতন কত, বাইং হাউজ কি, বায়িং হাউজে বেতন, buying house ki, বাইন হাউজ কি, বাইং হাউজ বেতন, বায়িং হাউজ করার নিয়মাবলী, বায়িং হাউজের নামের তালিকা, বায়িং হাউজে চাকরি বেতন, বায়িং হাউজ কোর্স, বায়িং কিউসির কাজ কি, বাইং হাউস কি, বায়িং হাউজের ঠিকানা, বায়িং হাউজে চাকরি নিয়োগ, বায়িং হাউজে যোগ্যতা, বাইং হাউজ নিয়োগ ২০২০, বায়িং হাউজ ব্যবসা, বায়িং কিউসি, বাইন হাউজে চাকরি, বাইন হাউজ, বাইং হাউজ নিয়োগ, qna house, বায়িং হাউজ কী, বাইং হাউজ নিয়োগ ২০২১, মার্চেন্ডাইজিং কোর্স করতে কত টাকা লাগে, বাইং, বায়িং হাউজ, গার্মেন্টস বায়ার পাওয়ার উপায়, একজন মার্চেন্ডাইজার এর কাজ কি, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার এর কাজ কি, গার্মেন্টস ব্যবসা করার নিয়ম, গার্মেন্টস কোয়ালিটির বেতন কত, বায়িং হাউজে নিয়োগ ২০২১, এইচ আর এর কাজ কি, foreign buying house job in bangladesh
বায়িং হাউজ মূলত একধরনের থার্ড পার্টি যারা ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে সম্পর্ক তৈরি করে কাজ সম্পাদন করে, বিনিময়ে তারা কিছু কমিশন লাভ করে।
একটি বায়িং হাউজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন লোক হচ্ছেন মার্চেন্ডাইজার, কারন তার মাধ্যমেই বিদেশে থাকা বায়ারদের ইমেইল করে অথবা টেলিফোন বা স্কাইপে নিয়মিত যোগাযোগ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হয়। এছাড়াও তাকে প্রডাক্ট এর স্যাম্পল বানানো, ফেব্রিক কোয়ালিটি, ল্যাব ডিপ, ট্রিম কার্ড ইত্যাদি বানিয়ে বায়ারের কাছে পাঠাতে হয় ও তাকে খুশি করতে হয়।
বায়িং হাউজে ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্ট্মেন্ট এ লোক নিয়োগ দেয়া হয় তাই তাদের বেতন ও ভিন্ন হয়। একজন অভিজ্ঞ মার্চেন্ডাইজার মাসে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখের বেশিও বেতন পান প্রতিষ্ঠান ভেদে। এছাড়াও কিছু বাড়তি ইনকামের সুযোগ থাকে। একজন কোয়ালিটি কন্ট্রোলারের বেতন ২০ থেকে ৩০ এর কাছাকাছিও হতে পারে।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় রয়েছে ৩ মাস, ৬ মাস এবং ১ বছর মেয়াদী কোর্স। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে আছে ১ থেকে ২ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স, উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক কোর্স। বিএসসি অনার্স ইন ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল মাকেন্ডাইজিং অথবা করতে পারেন এমবিএ ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং।
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
WELL DONE !!
ভালো
পোস্ট
অসাধারণ
Thanks
অনেক ভালো একটি পোস্ট
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান পোষ্টের জন্য
পোস্টটি ভালোলাগলো। বাইন হাউজ সম্পর্কে জানতে পারলাম।
একটি বায়িং হাউস করতে মূলধন কত টাকা লাগে??? কেউ জানলে একটু জানাবেন
যেকোনো কাজ শুরু করার জন্য সাহস ও মনোবল লাগে, তারপর লাগে বুদ্ধি এবং সবার শেষে অর্থ। বায়িং হাউজ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো মূলধন লাগেনা। অনেকে নিজের ঘরকেই বায়িং হাউজ হিসেবে ব্যাবহার করে। আবার অনেকে কোটি টাকা খরচ করেও অফিস বানায়। তো বুঝতেই পারছেন আশা করি।
বায়িং হাউসে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিভাবে কাজ পেতে পারি কেউ কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন।
বায়িং হাউসে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিভাবে কাজ পেতে পারি কেউ কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন।
চট্টগ্রামে ভালো মানের বায়িং হাউস কোথায় আছে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য
আমার জানা নেই সঠিক, একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন
Lot of thanks
আমি কোনো দক্ষতা নেই নি তবে ভাষার উপর নির্ভর করছে আমার এই ব্যবসা। তা ঠিক বলছি কি না উত্তরে জানাবেন
onek ta thik
আপনার কথা গুলা টিক আছে, কিন্তু অনেক টাকার দরকার, বায়িং হাউজ দিতে গেলে?
সুন্দর পোস্ট করেছেন পোস্টটা পড়ে মনে সাহস যোগালাম
I am student of English department under national univarcity ,and am student of honours third year right now .I am fluent English speaker ..I need such job .can I have any oppurtunaty for such job..please reply me
শুভকামনা রইল
অবশ্যই পেতে পারেন, একটু চোখ কান খোলা রেখে চেষ্টা করতে থাকুন।
আপনি সবার আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন ও ব্যবসা বুঝুন। তারপর মাঠে নামবেন। তাহলে দেখবেন খুব কম পূঁজি দিয়েও আপনি সফলতা পাবেন।
আপনি সবার আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন ও ব্যবসা বুঝুন। তারপর মাঠে নামবেন। তাহলে দেখবেন খুব কম পূঁজি দিয়েও আপনি সফলতা পাবেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। পারলে পোস্ট টি শেয়ার করে অন্যদের শেখার সুযোগ করে দিবেন।
পোস্টটা পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারলাম,,,Suvo road ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,, ভাইয়া আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সুস্থ্য ও শান্তিতে রাখেন,এ-ই কামনাই করি,,
thanks a lot brother
আসসালামু আলাইকুম, আমাকে কিছু রিয়াল বায়ার এর ঠিকানা দিন প্লিজ।
এভাবে বায়ার পাওয়া যায় না, আপনাকে খুঁজে নিতে হবে।
আমি এই নেটের কাজ কোরতে চাই কুনতু কি ভাবে কোরবো
kono ekti course e vorti hoye jan
Thanks brother.
ঢাকার ভিতরে স্টক এবং গার্মেন্টস ফেক্টরির লোডের মাল বিক্রি করতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করেন 01917462617