গৃহপালিত পাখির মধ্যে কবুতর খুবই জনপ্রিয়। গ্রাম-গঞ্জ এমনকি শহরের বাসা-বাড়িতে অনেকে কবুতর পালন করে। কম পরিশ্রম ও অল্প খরচে কবুতর পালন করে পরিবারের আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। অনেক বাড়িতেই হাঁস-মুরগীর মতো কবুতরও পালন করা হয়। পরিবারের গৃহকর্ত্রী ও স্কুল কলেজ যাওয়া ছেলে-মেয়েরা কবুতর পালনের কাজ করে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঠের বাক্সে পুরনো পদ্ধতিতে কবুতর পালন করা যায়। তবে ইদানিং বাজারে বাচ্চা কবুতরের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উন্নত পদ্ধতিতে কবুতর পালনের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উন্নত পদ্ধতিতে কবুতর পালন করলে আর্থিক দিক দিয়েও লাভবান হওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন
কবুতর খুব সহজেই পোষ মেনে যায় বলে গ্রামে, এবং শহরের বাসাবাড়িতে অনেকেই কবুতর পালন করেন। বাড়ির যে কোনো উম্মুক্ত বা খোলামেলা যায়গায় পালন করা যায় কবুতর। অনেকেই কাঠের বাক্স কে বেছে নেন কবুতর পালনের জন্য । কবুতরের মাংস খুবই মজাদার এবং এতে প্রোটিনের পরিমাণ অন্য পাখির মাংসের তুলনায় বেশি। অনেকেই শখের বশে কবুতর পালন করে থাকেন। তবে আয়ের উৎস হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন খুবই লাভজনক।জাত বিবেচনায় প্রতি জোড়া কবুতর ২ হাজার থেকে প্রায় ১ লাখ টাকায়ও বিক্রি হতে পারে ।
কবুতরকে সহজেই পোষ মানানো যায় এবং এর পালন খরচ ও তুলনামুলক কম। রোগব্যাধিও তুলনামূলকভাবে খুবই কম হয়ে থাকে।প্রতি জোড়া কবুতর থেকে প্রতিমাসে গড়ে ২টি বাচ্চা পাওয়া যায় এবং চার সপ্তাহের মধ্যেই এই বাচ্চা খাওয়া বা বিক্রি করা সম্ভব হয়।এই পাখির মল জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং অল্প জায়গাতেই পালন করা সম্ভব । কবুতরের খাবারের খরচও কম এবং এর থাকার ঘর তৈরি করতে টাকা কম লাগে। মুক্তভাবে পালন করলেও এর খাবার খরচ কম। এর মাংস খুব সুস্বাদু ও পুষ্টি সম্পন্ন এবং সহজপাচ্য। কবুতর পালনএ সল্প পুঁজি এবং পরিশ্রমে লাভবান হওয়া সহজ।
বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৩০০ জাতের কবুতর আছে। এদের মধ্যে যাদের বিশেষ করে মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হয় তারা হচ্ছে টেক্রেনা, হোয়াইট কিং, সিলভার কিং, হামকাচ্চা, কাউরা, ডাউকা, গোলা, পক্ক, লক্ষণ, গোলী, ইত্যাদি। শৌখিন লোকেরা খেলাধুলা বা বিনোদন এর জন্য ময়ূরপঙ্খী, সিরাজি, লহোরি, ফ্যানটেইল, মুকি, জেকোভিন, গিরিবাজ, টেম্পলার, লোটন ইত্যাদি প্রজাতির কবুতর পালন করে থাকে। এদের মধ্যে আমাদের দেশে জনপ্রিয় একটি জাত হচ্ছে ‘জালালি কবুতর’।
পুরুষ ও স্ত্রী কবুতর জোড়া বেঁধে সাধারণত আজীবন একসঙ্গে বাস করে থাকে। এদের জীবনকাল ১২ থেকে ১৫ বছর। পাঁচ হতে ছয় মাস বয়সেই স্ত্রী কবুতর ডিম পাড়তে শুরু করে। ২৮ দিন পর পর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ টি ডিম দেয় এবং ৫ বছর বয়স পর্যন্ত দেওয়া ডিমে বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা সক্রিয় থাকে এবং ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ১৭ থেকে ১৮ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়। স্ত্রী এবং পুরুষ উভয় কবুতরই পালা করে ডিমে তা দেয়। ডিমে তা দেওয়ার ১৫ থেকে ১৬ দিন এর মধ্যে স্ত্রী-পুরুষ উভয় কবুতরের মাঝেই খাদ্যথলিতে দুধ উৎপন্ন হয়, যা খেয়ে বাচ্চারা ৩-৪ দিন পর্যন্ত বাচতে পারে। ১০ দিন পর্যন্ত তারা বাচ্চাকে ঠোঁট দিয়ে খাওয়ায় এবং এরপর বাচ্চারা দানাদার খাদ্য খেতে শুরু করে।
কবুতর পালার জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গার প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আঙিনায়, বাসার ছাদে কিংবা জানালার কার্নিশেও কবুতর পালন করা যায়। হালকা কাঠ, পাতলা টিন, বাঁশ অথবা প্যাকিং এর কাঠ দিয়ে কবুতরের ঘর বানানো সম্ভব । কবুতরের থাকার ঘরটি এমনভাবে উঁচু করে তৈরি করতে হয়, যেন কবুতর হিংস্র প্রাণী বা পাখিদের নাগালের বাইরে থাকে এবং কবুতরের ঘরে প্রচুর আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করা উচিত যেন বৃষ্টির পানি ঢুকতে না পারে। কবুতরের ঘর পাশাপাশি অথবা কয়েক তলাবিশিষ্ট হতেই পারে। খাবার এবং পানির পাত্রটি কবুতরের ঘরের সামনেই রাখতে হবে। কবুতরের ঘরটি পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। এমনকি প্রতিমাসেই একবার অথবা দুবার করে এ ঘরের বিষ্ঠা পরিষ্কার করতে হবে।
কবুতরের রোগ ব্যাধির পরিমাণ তুলনামূলক কম । সচরাচর কবুতরের যে ধরনের রোগ হয়ে থাকে, তা হলো রানিক্ষেত বা পক্স। এ ছাড়া নানানরকম পরজীবী দ্বারাও আক্রান্ত হতে পারে। এ জন্য সময়মতো টিকা দেয়া জরুরি। নিয়মিত সুষম খাদ্য সরবরাহ করলে এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকলে রোগব্যাধি সাধারণত কম হয়ে থাকে।
ঢাকা শহরের অলিতে-গলিতে যখন করনার আক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন এর অপেক্ষা, তখন ছোট বোন ছোট্ট আবদার জ্যামিতি বক্স কিনার হিসাব মেলাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান এর ছাত্র রাফি।মুহুর্তেই সব যেন বদলে গেল।লকডাউন এর ফাদে পড়লো ঢাকা সাতে রাফিরা। শেষ সম্বল টিউশনি র কিছু টাকা নিয়ে গ্রামে ফিরল রাফি।
লকডাউন শেষ হবার প্রতিক্ষাও যেমন শেষ হয় না, হয়না রাফির ঘুরে দাড়ানো ও। অবশেষে ফেসবুকে কবুতর পালন এর পোস্ট চোখে পড়ে রাফির। সাপ্তাহিক হাটবার থেকে এক জোড়া হোয়াইট কিং ও কিনে আনে রাফি। সস্তায় কাঠের বাড়ি বানিয়ে ফেলে কবুতরের জন্য। শুরু হয় রাফির কবুতর যাত্রা। এর পরের গল্প টা শুধুই ঘুরে দাড়ানোর।
আস্তে আস্তে রাফির কবুতরের সংগ্রহ সমৃদ্ব হয়। এ বহরে আলাদা আলাদা খাঁচায় দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের রং বেরংয়ের কবুতর যুক্ত হয়। কবুতরগুলোকে খাবার সরবরাহে ব্যস্ত থাকে রাফি ও তার জনবল। হোয়াইট কিং ছাড়াও ফ্রিলবাক, সিরাজি, নরেশ, কোপার, পুটার, বসিয়ানি, ট্যামলার, হলুদ, শিখর ক্যারিয়ার, হোমা সাদা, সো কিং লাল, সো কিং সাদা, মুণ্ডিয়ান চকলেট, টেইলমারক হলুদ, টেইলমারক কালো, বোখারা, সারটিন, কাগজি, গ্রিবাজ, টেগোরোলা হলুদ, মুক্ষি জ্যাকোবিন, ক্রিমবারসহ নানা রংয়ের বিভিন্ন জাতের প্রায় ৫০ জোড়া দেশি-বিদেশি কবুতর রয়েছে রাফির এই খামারে।
বাংলাদেশে অনেকেই এখন কবুতর পালনের সাথে যুক্ত, এবং আমাদের জলবায়ুও কবুতর পালনের জন্য খুবই উপযোগী। কবুতর পালন করে এখন রাফির মতো অনেক তরুনই স্বাবলম্বী হয়েছেন। বাংলাদেশের বেকার সমস্যা সমাধানে কবুতর পালন হতে পারে একটি অনন্য সমাধান।
রাফির বর্তমান খামারে থাকা বিদেশি কবুতর গুলোর বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ লাখ টাকার ওপরে। রাফির ভাষ্যমতে বিদেশি জাতের এসব কবুতর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যেমন ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা,নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর থেকে সংগ্রহ করেছেন। বর্তমানে তার খামারে উৎপাদিত বিদেশি জাতের কবুতরের বাচ্চা দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারদের কাছে ১ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা জোড়ায় বিক্রি করেন। এক জোড়া বিদেশি কবুতর পালনে প্রতি বছরে গড়ে সব খরচ বাদ দিয়েও প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত লাভ থাকে। এক জোড়া কবুতর বছরে কমপক্ষে ৪ জোড়া বাচ্চা দিয়ে থাকে এবং প্রতি জোড়া বাচ্চার দাম পরে প্রায় ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি। কবুতরের খাবার বাবত এক বছরে খরচ হয় প্রায় ১৫ শ’ থেকে ২ হাজার টাকার মতো । অন্যান্য খরচ হয় ৪ হাজার টাকার মতো।
সব মিলিয়ে খরচ বাদ দিলেও ২০ হাজার টাকার ১ জোড়া কবুতরে আপনি ৩০ হাজার টাকার ওপর লাভ করতে পারবেন। এইভাবে ৬ বছরের মধ্যে রাফি কবুতরের বাচ্চা ও কবুতর বিক্রি করে দারুণ লাভ করতে পেরেছেন। বর্তমানে রাফির কাছে ৪০টি ছাগল, দুটি গরু ও প্রায় শতাধিক মুরগি রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে রাফির বর্তমানে মোট সম্পদের পরিমাণ দাড়িয়েছে প্রায় লক্ষ টাকার উপরে।
বিদেশি জাত এর মধ্যে জেকোবিন, ফেনটাইল, আমেরিকান জার্মান শিল্ড, ইন্ডিয়ান লক্ষা, শার্টিন ও বোখারা জাতের বিদেশি কবুতর পালনে সাফল হয়েছেন রাফির সহপাঠি ও সিলেটের শৌখিন যুবক আফজাল হোসেন। প্রথমে শখ করে শিরাজি ও শার্টিন প্রজাতির ছয় কবুতর ক্রয় করলেও এরপর অন্যান্য জাতের কবুতরও সংগ্রহ করেন। ধীরে ধীরে তার শখের কবুতর পালন রূপ নেয় ‘এসকে পিজিয়ন লফট’ নামের সফল কবুতর খামারে।
আফজালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বসতঘরের ছাদে আছে তার কবুতরের খামার। নানান ধরনের খাঁচার মধ্যে থাকা নানান জাতের বিদেশি কবুতরকে পরম যত্নে মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন আফজাল। সিলেটের এমসি কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স শেষে ব্যবসা করার ইচ্ছা ছিল শেখ আফজাল হোসেনের। উপজেলা সদরের পুরাতন বাজারে ১টি ‘খেলাঘর’র মাধ্যমে সে ইচ্ছের কিছুটা বাস্তবায়ন হয়েছে তার। লেখাপড়া থাকাবস্থায়ই নজর দেন দেশি কবুতর পালনে। এগুলো কিনতে গিয়ে খবর পান বিভিন্ন জাতের বিদেশি কবুতরের।
প্রথমে তিন জোড়া শিরাজি ও শার্টিন জাতের কবুতর দিয়ে আফজাল শুরু করেন বিদেশি জাতের কবুতর পালন। তারপর তিনি সংগ্রহ করেন আরও কিছু জাতের বিদেশি কবুতর। খুব অল্প সময়েই বাড়তে থাকে তাদের সংখ্যা। তারপর বাচ্চা কবুতর এবং বিক্রয় উপযোগী কবুতর সবই অনলাইনে বিক্রি করা শুরু করেন তিনি। তারপর প্রথম বিদেশি জাতের কবুতরের বাণিজ্যিক ফার্ম হিসেবে শুরু করেন ‘এস কে পিজন লফট’। এখন তার মাসিক আয় প্রায় ২৫ হাজার টাকার কাছাকাছি ।
বর্তমানে তার ফার্মে থাকা জেকোবিন, বোখারা, ইন্ডিয়ান লক্ষা, আমেরিকান ফেনটাইল, জার্মান শিল্ড, শার্টিন—এই ছয় জাতের ৬০টির অধিক বিদেশি কবুতর এর বাজার মূল্য আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ টাকা। এর মধ্যে জেকোবিন জাতের কবুতরের মূল্য অনেক বেশি। বিক্রয় উপযোগী এক জোড়া জেকোবিনের মূল্য প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই জাতের এক জোড়া বাচ্চার দাম প্রায় ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে সর্বনিম্ন ১৫০০ মুল্যের কবুতরও রয়েছে তার খামারে। শেখ আফজাল জানান, তার বিদেশি জাতের কবুতরকে তিনি খাবার হিসেবে দেন গম, ডাবরি, মোটর, চীনা, বাজরা, কুসুমফুল ইত্যাদি। এতে মাসে তার ব্যয় হয় ৫ হাজার টাকার মতো।
অপরদিকে, অনলাইনের মাধ্যমেও কবুতর ও বাচ্চা বিক্রয় করে মাসে তার আয় হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা। অনলাইনে তার কবুতর বেশির ভাগই যায় ভারত, ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামে। ধীরে ধীরে ‘এসকে পিজিয়ন লফট’-এর পরিধি বাড়ানোর ইচ্ছে আছে তার। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, যারা দক্ষ এবং কোয়ালিফাইড, তারাই এসব ক্ষেত্রে ভালো করছে এবং সফল হচ্ছে। বিদেশি জাতের কবুতরের এমন ফার্ম নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী ও লাভজনক। আমরা দ্রুতই আফজালের ফার্ম পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, এটি প্রশংসনীয় । এমন উদ্যোক্তার মতো অন্য যুবকরাও এসব কাজে আগ্রহী হলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হবে।
রাফির কবুতর পালনের এই সাফল্য দেশের বেকার যুবকদের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে। তার দেখাদেখি বেকার যুবকরা যদি কবুতর পালন পেশায় এগিয়ে আসেন, তাহলে তারা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অবদানরাখতে পারবে। কবুতর পালনে এগিয়ে আসার জন্য জেলার কৃষি ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রাও এলাকার বেকার যুবকদের বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
"লেখাটি ভালো লাগলে একটি কমেন্ট করে আপনার মতামত জানানোর অনুরোধ রইল, ধন্যবাদ।"
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
Good job